জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কী হতে পারে? হোক না একটু দেরি, তবুও যেন তাড়াহুড়া না করি।
Published : 19 Apr 2025, 08:25 PM
সড়কে বেপরোয়া গাড়ি আর অসচেতন পথচারীর জন্য সড়কে প্রতিদিনই প্রাণ ঝরছে।
আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার খবর যেন এক স্বাভাবিক ব্যাপার। সংবাদমাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর দেখতে দেখতে আমাদের ভয় যেন দূর হয়ে গেছে। আমার এমন বিপদ হবে না—এই অদ্ভুত বিশ্বাসেই বেঁচে আছি আমরা!
কয়েকদিন আমি মর্মান্তিক একটি ঘটনা সামনে থেকে দেখেছি। যা আমার বিশ্বাসকে এখন অবিশ্বাসে পরিণত করেছে। আমার চোখের সামনেই একজন মানুষ প্রাণ হারালেন, শুধুমাত্র অসচেতনতার কারণে।
তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এই অসাবধানতাই তার জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু যেন স্তব্ধ হয়ে যায়।
আমরা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী মিলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান, তিনি আর বেঁচে নেই।
পরে আমরা তার পরিচয় খুঁজে বের করে তার পরিবারকে খবর দিই। পরিবারের কান্না, স্তব্ধতা, এবং সেই শূন্যতার অনুভূতি ক্ষণে ক্ষণে আমার মনে ভেসে ওঠে। মনে হয়, তাদের এই শোক কোনোদিনই ঘোচার নয়।
এই একটি মুহূর্তই বদলে দিয়েছে একটি পরিবারের পুরো গল্প। শুধু যদি তিনি একটু সচেতন হতেন, তাহলেই হয়ত আজও বেঁচে থাকতেন।
এই ঘটনার পর থেকে আমার উপলব্ধি আরও গভীর হয়েছে। আমাদের সবারই রাস্তা পার হওয়ার সময় অতিমাত্রায় সতর্ক হওয়া দরকার। জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কী হতে পারে? হোক না একটু দেরি, তবুও যেন তাড়াহুড়া না করি।
ছোট ছোট অভ্যাস যেমন মোবাইল ফোন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখা, ট্রাফিক আইন মেনে চলা, এবং আশেপাশের গাড়ির গতি লক্ষ্য করার মত বিষয়গুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সড়ক পার হওয়ার জন্য একটু কষ্ট হলেও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করা উচিত। একটি অসতর্ক মুহূর্তের মূল্য কখনো কখনো একটি অমূল্য প্রাণ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: শেরপুর।