মামলায় যে ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৩ জনই পুলিশ কর্মকর্তা।
Published : 04 Sep 2024, 01:23 PM
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে প্রায় নয় বছর আগে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে এক ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহত নুরুজ্জামান জনির বাবা ইয়াকুব আলী মঙ্গলবার ঢাকার খিলগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে ওসি দাউদ হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “মামলায় যে ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৩ জনই পুলিশ কর্মকর্তা।”
সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ছাড়াও সাবেক উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন, ডিবি রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পরিদর্শক ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, জাহাঙ্গির হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও আবু সায়েদের নাম রয়েছে মামলার আসামির তালিকায়।
জনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। এর আগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ২০১৫ সালের ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বেআইনিভাবে হেফাজতে রেখে নির্যাতন ও গুলি করে’ জনিকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় জনির বাবা ইয়াকুব আলী হত্যা মামলা করতে থানায় গেলে তাকে ‘মিথ্যা মামলা এবং ক্রসফায়ারে হত্যার ভয়’ দেখানো হয়। এছাড়া আসামিরা দীর্ঘদিন বাদী ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোয় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে লেখা হয়েছে।