“আমরা আদালতকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। পরে আদালত শুনানি শেষে আদেশ দেন”, বলেন সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদের আইনজীবী।
Published : 21 Oct 2024, 07:19 PM
রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার আইনে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে রিমান্ডে পাঠানো হলেও আরেক আসামি ও একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব আহমেদ মনিরুছ সালেহীন জামিন পেয়েছেন।
দুই আসামিকে দুটি আদালতে তোলা হয়।
সোমবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক সচিবকে জামিনের এই আদেশ দেন।
জামিনের আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, “এই আসামি হাই কোর্ট হতে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়েছেন। জামিনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি।”
সার্বিক বিবেচনায় ৫০০০ টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত জামিন দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিকালে একই মামলায় ইমরান আহমদকে তোলা হয় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালতে। ইমরানের ১০ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাছান।
আসামিপক্ষে আইনজীবী কামরুজ্জামান চৌধুরী চান জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এর বিরোধিতা করে শুনানি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
দুই পক্ষে বক্তব্যের পর বিচারক জানতে চান ইমরান কিছু বলবেন কি না। তখন তিনি বলেন, “মাননীয় আদালত, তখন আমি মন্ত্রী ছিলাম ঠিকই, কিন্তু আমি এসব কিছু করিনি। আমি যা কাজ করেছি তা সব কিছুই ফাইল অনুযায়ী করেছি।
“মানুষের কাছ থেকে টাকা যা নেওয়ার, তা এজেন্সিগুলো নিয়েছে। তারাই নির্দিষ্ট সংখ্যার অতিরিক্ত লোক নিয়েছে। আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
পরে আদালত আদেশ দেন।
সাবেক মন্ত্রীর আইনজীবী কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “সকালে এই মামলার দুই নম্বর আসামি সাবেক সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীনকে জামিন দিয়েছে আদালত। আমরা আদালতকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। পরে আদালত শুনানি শেষে আদেশ দেন।”
রোববার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ‘সিন্ডিকেট করে’ অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় ইমরান আহমেদ, সাবেক সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: