মাত্র ৩১ মিনিটেই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারবেন নগরবাসী।
Published : 03 Nov 2023, 11:00 PM
ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যে স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়েছিল গেল ২৮ ডিসেম্বর, ১০ মাস সাত দিনের মাথায় তা পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন। পরদিনই শুরু হবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক যাত্রা।
তাতে করে মাত্র আধা ঘণ্টায় রাজধানীর উত্তরা থেকে রওনা হয়ে মতিঝিলে পৌঁছাতে পারবে নগরবাসী। মুক্তি মিলবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা যানজট ঠেলার ঝক্কি থেকে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী রোববার থেকে মেট্রোরেল উত্তরা থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় যাত্রা শুরু করবে।
বর্তমান সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল করার কারণে ৮টায় যাদের অফিস তাদের পৌঁছাতে দেরি হয়ে যেত। যাত্রীদের এ দাবির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।
প্রথম দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
অপরদিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে চলাচলের সময়ও সকালে আধ ঘণ্টা এগিয়ে সাড়ে ৭টা এবং রাতে আধ ঘণ্টা পিছিয়ে সাড়ে ৮টা করা হয়েছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শনিবার দুপুর আড়াইটায় আগারগাঁও স্টেশন থেকে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন।
তারপর মতিঝিল স্টেশনে আরেকটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য তিনি মেট্রোরেলে চড়ে মতিঝিলের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন। এই লাইন হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।
মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রায়ল চলছে। আজকে আরও কয়েকবার আমরা ট্রায়াল চালিয়েছি।”
দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন এমআরটি-৬ এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৬টি স্টেশন থাকছে। এসব স্টেশনে গড়ে ৪৫ সেকেন্ড করে থামবে ট্রেন। ট্রেনের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, “কিন্তু এই গতিতে চলবে না ট্রেন। প্রতিটি স্টেশনে থামা, বিভিন্ন বাঁকে কম গতিতে চলাসহ সবমিলিয়ে দিয়াবাড়ি (উত্তরা) থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেনটির যেতে সময় লাগবে ৩১ মিনিট।”
বেঁচে যাওয়া সময় পাবে পরিবার
মতিঝিলের একটি রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন রাশেদুল ইসলাম হাসান। তিনি থাকেন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে। অফিস যেতে প্রতিদিন সকাল ৮টায় তাকে বাসা থেকে বের হতে হয়।
রাশেদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বলা হচ্ছে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে আধা ঘণ্টার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগবে। অফিস করার জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হত। এখন যদি আধা ঘণ্টায় যেতে পারি, তাহলে ঘুম থেকে উঠে বাজার করার পাশাপাশি বাড়তি অনেকগুলো কাজ শেষ করে সোয়া ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হলেই চলবে।
“এতে করে আমার দৈনিক কাজের জন্য যাওয়া-আসা মিলিয়ে অন্তত ৩ ঘণ্টা বেশি সময় পাব। গাড়িতে বসে বসে যে সময় পার হত, সেটা এখন আমার ব্যক্তিগত কাজে এবং পরিবারকে দিতে পারব।”
একই সুরে কথা বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু জাফর।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে অফিসের গাড়িতে হোক আর যেভাবেই হোক মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে মতিঝিল আসতে হাতে দেড় ঘন্টা সময় নিয়ে আসতে হতো, এখন আধাঘণ্টা সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হলেই চলবে।
“আবার অফিস শেষে ফেরার ক্ষেত্রে তো আরও সমস্যা হতো, কয় ঘণ্টা লাগবে- সেটার কোনও হিসাব ছিল না। এখন বাসায় গিয়ে পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি অনেকগুলো কাজে নিজেকে জড়াতে পারব। গাড়িতেই প্রায় চার ঘণ্টা সময় অতিরিক্ত চলে যেতো, আশা করছি মেট্রোরেল চালু হলে এই সময়টুকু অন্তত বাঁচবে।”
উত্তরায় একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন আশরাফুল ইসলাম। স্ত্রী-সন্তান ও তার মা-বাবা থাকেন আজিমপুরে, কেবল চাকরির সুবাদে আশরাফুলকে থাকতে হয় উত্তরায়।
তিনি বলছিলেন, “এক রুমের সাবলেট নিয়ে থাকি, বৃহস্পতিবার আজিমপুরে যেতে হয়। মাঝে মাঝে ক্লাস শেষ করে বাসায় যেতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু তিন ঘণ্টা লাগবে বলে আর যেতে মন চায় না, কতক্ষণ জ্যামে বসে থাকব?
“এখন তো আর সেই সমস্যা হবে না, যখন ইচ্ছে হয় বাসায় যাব, এমনকি বাসা থেকে এসে ক্লাস নিতে পারব। এতে করে পরিবারকে সময় দিতে পারব।”
যানজটের ঢাকায় প্রতিদিন যে কর্মঘণ্টার অপচয় হয়, তার কিছুটা ঠেকানো যাবে মেট্রোরেলের এই লাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ চালু হতে যাওয়ায়।
তেজগাঁও মহিলা কলেজের প্রভাষক মৃধা সোহাগ বলছিলেন, ক্লাস নিতে প্রতিদিন তাকে মিরপুরের পল্লবী থেকে তেজগাঁওয়ে যেতে হয়। আবার ফিরতে হয়।
“ভাই, জ্যামে বসে থাকতে থাকতে জীবন শেষ। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চললে আর জ্যামে বসে থাকতে হবে না। আমরা দুই বন্ধু প্রতিদিন এক সাথে ফার্মগেট যাই, গতকাল দুই বন্ধু আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেলে চড়েছি।
“খুব ভালো লেগেছে, মনে হচ্ছে এভাবেই তো আমরা প্রতিদিন পল্লবী থেকে প্রতিদিন ফার্মগেট যাব।”
শুরুতে চলবে ৪ ঘণ্টা
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটে প্রথমে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের সময় প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হলেও পরে যাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে তা সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা করা হয়। ধীরে ধীরে সময় বাড়বে সময় বলে জানান প্রকল্প পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশেও সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।
এদিকে রাত ৮টার পর্যন্ত যাদের এমআরটি বা র্যাপিড পাস রয়েছে তারা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবেন।
কিন্তু যেসব যাত্রী স্টেশন থেকে একক টিকিট কাটবেন তারা রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “যখন দুইটা সেকশনে একসঙ্গে মিলে যাবে, তখন সকাল থেকে যেভাবে চলছে, সেভাবে চলবে। প্রথম দিকে এক শিফটে চলবে, দুই বেলায় চলবে না। পরবর্তীতে সময় বাড়ানো হবে।
“বর্তমান যে সময়ে চলাচল করছে তাও কাভার করব। তারপর উভয় অংশে সময়টাও সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা বাড়াব।”
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রতিদিন মেট্রোতে গড়ে ৮৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরোদমে চালু হলে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।
তার ফলে প্রতিদিন ৬ লাখের বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেলের কর্মকর্তারা।
উত্তরা থেকে মতিঝিল ভাড়া ১০০ টাকা
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথের জন্য ভাড়া গুনতে হবে ১০০ টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন আছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও অংশে আপাতত মতিঝিল, সচিবালয় ও ফার্মগেট-এই তিন স্টেশন থামবে মেট্রোরেল।
এ তিন স্টেশনের মধ্যে উত্তরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ভাড়া ৭০ টাকা, সচিবালয় পর্যন্ত ৯০ টাকা আর মতিঝিল পর্যন্ত গুনতে হবে ১০০ টাকা।
বাকি স্টেশন ৩ মাসের মধ্যে
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের সবগুলো স্টেশন চালু হতে তিন মাস সময় লেগে যাবে জানানো হয়েছে। শুরুতে বাদ পড়া স্টেশনগুলো হচ্ছে- বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন।
এর আগে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ চালুর সময়ও ধীরে ধীরে অন্য স্টেশন চালু হয়েছিল। প্রথম দিন উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশন চালু হলেও ৩০ মার্চের মধ্যে এই অংশের ৯টি স্টেশনই চালু হয়।
এমআরটি লাইন-৬ এর রুট কমলাপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই হিসাবে কাজ বাকি থাকছে কেবল একটি স্টেশনের। সেই অংশটি ২০২৫ সালের মধ্যে চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
অন্য লাইনের কাজ দ্রুত করার তাগিদ
ঢাকায় অসহনীয় হয়ে ওঠা যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় ২০০৫ সালে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) প্রণয়ন করে বাংলাদেশ সরকার। ২০ বছর মেয়াদি (২০০৪-২০২৪) ওই পরিকল্পনায় মেট্রোরেল, বাসভিত্তিক উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা-বিআরটিসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরামর্শ আসে।
তবে সেই সময় ফুরিয়ে এলেও কেবল একটি মেট্রোরেল পুরোপুরি লাইন চালু হচ্ছে। সরকার বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীতে আরও পাঁচটি লাইন চালু হবে।
এর মধ্যে শনিবারই এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন তিনি।
সবগুলো রুট চালু হলে ঢাকার যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেট্রোরেলের সুবিধা থেকে একটি বিশাল জনগোষ্ঠী বাদ পড়ছে। সবগুলো লাইন চালু হলে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব বড়বে।
“প্রথম প্রকল্প হিসেবে অনেক সময় লেগে গিয়েছে। অন্যান্য এমআরটি লাইনগুলো যখন হবে, তখন নির্মাণ সময় যেন অযাচিতভাবে না হয়। এতে করে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়, দুর্ভোগও বাড়ে।”
এমআরটি লাইন-৬ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই ক্ষেত্রে বিশেষ করে আগারগাঁও অফিস পাড়া, ফার্মগেট অফিসের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বিশাল অংশ এখানে যাতায়াত করে।
“শাহবাগে মেডিকেলের পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ আসা-যাওয়া করে। আর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, এখানে ব্যবসায়ীদেরও ওঠাবসা। এই রুটে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করলে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। কর্মঘণ্টার উপর ইম্প্যাক্ট পড়বে। আমি বলব, ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “মেট্রোরেল যখন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলো, তখন আমি বলেছিলাম যে- মতিঝিল-ফার্মগেট-শাহবাগ পর্যন্ত চালু না হলে এর প্রভাব তেমন পড়বে না। বাস্তবে এর ইমপেক্ট আসার সম্ভাবনা কম ছিল।
“এখন মতিঝিল পর্যন্ত চালু হওয়াতে একটি বা দুটি করিডোরের যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে, এটা তাৎপর্যপূর্ণ হবে। বিশেষ করে লং ডিস্টেন্স এ যারা যাবেন, তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা হবে।”
যানজট কমাতে মেট্রোরেলের অন্য লাইনগুলোর কাজ দ্রুত করার তাগিদ দেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল।
“ঢাকা যেহেতু ঘনত্বপূর্ণ শহর, এখানে একটি অঞ্চলের লোকদের দিয়ে পুরো শহরের যানজট কমানো সম্ভব নয়। এছাড়া মেট্রোরেল থেকে যারা নামবেন, নামার পরে আউটার রুটগুলোর কী অবস্থ, সেগুলো যানজট মুক্ত রাখার ব্যবস্থাটাও করতে হবে।
“আমার মনে হয় ট্রাফিক কমানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। ওভারঅল ট্রাফিক জ্যাম কমাতে হলে আরও অন্য করিডোরে মেট্রো খুলতে হবে। এছাড়া সাসটেইনেবল হবে না।”
আরও পড়ুন: