সভায় জানানো হয়, ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার চারটি ইন্টারসেকশনে দেশীয় প্রযুক্তির ট্র্যাফিক সিগন্যাল বসানো হবে।
Published : 07 Jan 2025, 12:05 AM
ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত বছরের শেষ চার মাসে রাজধানীতে প্রায় এক লাখ ৩৯ হাজার মামলা দায়েরের তথ্য দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সভার বরাত দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা দায়েরের পাশাপাশি ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।
ঢাকা শহরের যানজট ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি সভা হয়। সেদিন নেওয়া নানা সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয় সোমবারের সভায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নীতিমালা চূড়ান্ত হলে প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে সভার আলোচনায় উঠে আসে। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্তও হয় সেখানে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি ইন্টারসেকশনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্র্যাফিক সিগন্যাল বসানো হবে। এর আলোকে আগামী চার মাসের মধ্যে এ ধরনের সিগন্যাল বসবে আরও ১৮টি পয়েন্টে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন হচ্ছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি যানজটের কারণ পর্যবেক্ষণ ও সমাধানে ডিএমপির নেতৃত্বে কমপক্ষে ছয়টি এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে দুটি ট্র্যাফিক মনিটরিং টিম গঠনের ওপর গুরুত্ব দেন।