হিরো আলম বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে নতুন মামলার আবেদন করেছেন।
Published : 28 Aug 2024, 07:38 PM
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম তার ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হলেও শুনানি হয়নি।
বুধবার হিরো আলম নিজেই বাদী হয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালতে এই মামলার আবেদন করেন।
মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিব ছুটিতে থাকায় আবেদনটি আরেক মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে পাঠানো হয়।
কিন্তু বাদীর আবেদনের সঙ্গে দাখিল করা কাগজপত্রে ঘাটতি থাকায় শুনানি সম্পন্ন হয়নি।
মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের বেঞ্চ সহকারী ইখতিয়ার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাদী শারীরিক আঘাতের চিকিৎসা সংক্রান্ত সনদ জমা দেননি। তাই শুনানি হয়নি। মামলার কোনো নম্বরও পড়েনি।
“পরবর্তী দিন বাদী এই সংক্রান্ত কাগজ জমা দিলে শুনানি করা হবে।”
হিরো আলম মামলার আবেদনে অভিযোগ করেছেন, ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই উপনির্বাচনের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করে।
হামলার হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলম দৌড়ে পালিয়ে যান এবং পরে রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
ওই ঘটনায় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন, যার তদন্ত চলছে।
হিরো আলম বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে নতুন মামলার আবেদন করেছেন।
এদিন হিরো আলম আদালতে আসেন ডিম ও জুতার মালা নিয়ে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এজলাসে, বারান্দায় ও আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাকে। তবে আরাফাতের দেখা তিনি পাননি।
এজলাসের বাইরে সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, “আমাকে মারধরের পর এখনো ব্যাথা অনুভব করছি। শুনেছি আরাফাতকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে, লোকজনের ভয়ে তাকে আদালতে আনা হচ্ছে না।”
মঙ্গলবার সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে গ্রেপ্তারের খবর চাউর হলেও রাত ৯টা পর্যন্ত গুলশান-বনানী ও আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আরাফাতের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
তার আটকের খবর পেয়ে হিরো আলম মিষ্টি নিয়ে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন। থানা থেকে বের হয়ে তাকে পথচারী ও যানবাহনের চালক-যাত্রীদের মধ্যেও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।