আলোকচিত্র ও পাবলিক আর্ট প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি স্মরণ করছে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার সেই ভয়াল স্মৃতি।
একাডেমির নন্দনমঞ্চ সংলগ্ন উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সোমবার ‘২১ অগাস্ট একটি বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে শোকাবহ বাঁশির সুর পরিবেশন করেন একাডেমির যন্ত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান মিয়া।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং অন্তত ৩০০ জন আহত হয়।
ভয়াল সেই স্মৃতি স্মরণে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে এ প্রদর্শনী, যা চলবে ২৩ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।
২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর স্থাপনাশিল্প, আলোকচিত্র, পারফরমেন্স আর্ট ও পাবলিক আর্ট প্রর্দশনী আয়োজন করে আসছে শিল্পকলা একাডেমি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে গেলে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে তার প্রয়োজন। দেশের সার্বিক উন্নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে শুরু করে নানামুখি কর্মকাণ্ডে দেশের উন্নয়ন ঘটিয়েছে এই সরকার।” ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ, চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী সৈয়দা মাহবুবা করিম (মিনি করিম), আলোকচিত্রী মীর ফরিদ এবং প্রদর্শনীর কিউরেটর অভিজিৎ চৌধুরী।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল, এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমান। ৩০ বছর পর ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জাতির পিতার পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং নিহত ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ আরো কয়েকশ' দলীয় নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত হয় খুনি জিয়ার স্ত্রী ও তার পুত্রের হাত। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তাই বলতে হয় বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্তে রঞ্জিত খুনি জিয়া ও তার পরিবারের হাত।”
সভাপতির বক্তব্যে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, “১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ড এবং ২১ অগাস্ট হামলা একই সূত্রে গাঁথা। সভ্যতার সংকট তখন হয় যখন জাতি তার অতীত ইতিহাস ভুলে যায়। কোনো কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে গানবাজনা বন্ধ হয়ে যায়। তারা আমাদের গর্বের সংস্কৃতি, সাহিত্য পরিচয় মুছে ফেলতে চায়। অনেকেই আবার সেই দলের হয়ে এখনও অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই।”