তারা হলেন দুই উপপরিচালক আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম।
Published : 10 Jul 2024, 08:45 PM
বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
বুধবার দুদকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করত। পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র প্রকাশ ও বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির পাঁচজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডি।
এর মধ্যে রয়েছে- পিএসসির দুই উপপরিচালক আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম।
চিঠিতে বলা হয়, অভিযুক্ত পাঁচজনের নিজ নামে ও তাদের পরিবারের সদস্যের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন, এমন সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে।
“এভাবে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্ত করে মামলা দায়ের করার জন্য সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
এই পাঁচ কর্মচারীর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদেরকে জানাতেও অনুরোধ করেছে পিএসসি।
প্রায় এক যুগ ধরে সরকারি সংস্থাটির অধীনে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে একটি চক্র জড়িত বলে রোববার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। সেখান এই চক্রের ছয়জনের ছবি প্রকাশ করা হয়।
এরপর গত কয়েক দিনে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। পরে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করা হয়।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পিএসসির পক্ষ থেকেও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। যদিও প্রশ্ন ফাঁস সম্ভব নয় বলে একটি বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।