মামলার অভিযোগে বলা হয়, “বিয়ের পর থেকে ব্যবসার জন্য শিল্পীর কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন শাহ আলম।”
Published : 06 Jan 2025, 07:46 PM
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম এই রায় দেন।
আদালতে পেশকার রাশিদুল ইসলাম বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি শাহ আলমকে কারাগার থেকে কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শাহ আলম তার স্ত্রী শিল্পীকে হত্যা করেছেন অভিযোগ করে ২০২১ সালের ২৯ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানায় এই মামলা করেন শিল্পীর মা আলেয়া খাতুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের পর থেকে ব্যবসার জন্য শিল্পীর কাছে ‘১ লাখ টাকা যৌতুক’ চেয়ে আসছিলেন শাহ আলম। টাকা দিতে না পারলেও সংসারের কথা চিন্তা করে ‘শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন’ সহ্য করে আসছিলেন শিল্পী।
“২০২১ সালের ২৯ মার্চ বড় বোন দোলনা যাত্রাবাড়ীতে শিল্পীর বাসায় গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সবাইকে খবর দিলে জানা যায়, শিল্পীকে ওড়না নিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে তার স্বামী শাহ আলম।”
মামলার পরদিন শাহ আলম যাত্রাবাড়ী থানায় আত্মসমর্পণ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মনিবুর রহমান সুজন। তিনি ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শাহ আলমের বিচার শুরু করে আদালত। ১৩ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য শুনে সোমবার আদালত রায় দিল।