গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
Published : 18 Nov 2024, 07:25 PM
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মেয়ে সুমাইয়া হোসেন, আমুর এপিএস ফকরুল মজিদ মাহমুদ কিরণ ও তার স্ত্রী রাফেজা মজিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুদকের আবেদনে সোমবার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, আমুর বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টি আর/কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে অর্থপাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।
“অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন, এপিএস ফকরুল মজিদ মাহমুদ কিরণ এবং তার স্ত্রী রাফেজা মজিদ দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিতকরণ প্রয়োজন,” বলা হয়েছে আবেদনে।
গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে রিমান্ড শেষে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির অন্য নেতাদের মত আমুরও কোনো হদিস মিলছিল না।
ওইদিন শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দ্বাদশ সংসদের ঝালকাঠিতে আমুর বাসবভনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
পরে তার ওই বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ১৪ আগস্ট ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।
সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে একাধিক।