ঢাকায় আরও ১৩ কোম্পানির বাসে ই-টিকেট

তৃতীয় ধাপে বুধবার থেকে ঢাকায় ১৩টি কোম্পানির ৯৪৭টি বাস ই-টিকেটিংয়ে যাত্রী পরিবহন করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 10:13 AM
Updated : 28 Feb 2023, 10:13 AM

রাজধানীর বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে তৃতীয় ধাপে আরও ৯৪৭টি বাসে ই-টিকেটিং চালু হচ্ছে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, বুধবার থেকে ওই ১৩ কোম্পানির বাস ই-টিকেটে যাত্রী পরিবহন করবে।

সমিতির প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করবে সমিতি। সেজন্য অতিরিক্ত ‘চেকার’ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এরপরে যাত্রীদের অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানে মনোযোগ দেবেন তারা।

আগে চালু হওয়া ই-টিকেটিং ব্যবস্থা ‘কার্যকর হয়নি’, এখনো ‘ইচ্ছেমতো’ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এনায়েত উল্যাহ বলেন, “আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। যাত্রীরাও যেন টিকিট ছাড়া ভাড়া না দেন। এই কাজ তো শুরু করেছি যাত্রীদের সুবিধার জন্য। যাত্রীরা যাতে ন্যয্য ভাড়া থেকে বঞ্চিত না হয়।

“… আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে কিনা, কাজ করছি কিনা সেটা দেখার বিষয়। আমরা আরও ১০টা লোক নিয়োগ দিচ্ছি। নিজেরা মাঠে যাচ্ছি। আমরা তো বসে নেই। আমরা চাই যাত্রীরাও যেন টিকিট ছাড়া ভাড়া না দেন।”

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ৯৭টি কোম্পানির অধীনে ৫ হাজার ৬৫০টি বাস চলাচল করে। সড়কে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে গত বছরের ১৩ নভেম্বর মিরপুরকেন্দ্রিক ৩০টি কোম্পানির ১ হাজার ৬৪৩টি বাসে ই-টিকেটিং চালুর কথা জানায় মালিক সমিতি।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ১১টি কোম্পানির ৭১৭টি বাসে এই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপে আরও ১৩টি কোম্পানির ৯৪৭টি বাসে ই-টিকেট চালু হচ্ছে।

ই-টিকেটিং পদ্ধতি কার্যকর করা ‘অনেক কঠিন’ মন্তব্য করে এনায়েত উল্যাহ বলেন, “এটি বাস্তবায়ন করার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে আমরা অনেক দল রাস্তায় নামিয়েছি। অনিয়ম বন্ধে নয়জন স্পেশাল চেকার নিয়োগ দিয়েছি। আরও ১০ জন স্পেশাল চেকার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে ভাড়া নিয়ে অনিয়ম দূর করতে আরও সময় লাগবে।”

চালক ও সহকারীরা বেতনে কাজ না করে চুক্তিতে কাজ করায় বিশৃঙ্খলা লেগে থাকে বলে যে অভিযোগ আছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নে এনায়েত উল্যাহ বলেন, “বেতনেও আছে, চুক্তিতেও আছে। আমরা চুক্তিটা বন্ধ করতে চাচ্ছি। ই-টিকেটিং পুরোপুরি চালু হলে চুক্তিতে চালানো বন্ধ হয়ে যাবে।

“যাত্রীবান্ধব পরিবেশসহ অন্যকাজ একসাথে করতে পাবর না। আমরা আগে ভাড়াটা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। তারপর আমাদের অন্য পরিকল্পনা আছে।”

ই-টিকেটিং কার্যকরে শ্রমিকদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা জানিয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, “কয়েকবার বসেছি। প্রতিটি কোম্পানিকে বলা হয়েছে, তারা যাতে শ্রমিকদের সচেতন করার উদ্যোগ নেন। কোথায় কোথায় কাজ করা উচিত তা আমরা করছি।”

ই-টিকেটিং পদ্ধতিতে ভাড়া না নিয়ে চালকের সহকারীরা বেশি ভাড়া আদায় করছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন মালিক সমিতির এই নেতা বলেন, “এখানে আর্থিক বিষয় জড়িত। কাজেই এটা তো বঝুতে পারছেন। তাই তো চেকার বসিয়েছি।”

রাজধানীর সব বাসকে এক ছাতার নিচে আনতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে ঢাকা নগর পরিবহনের বাস নামানো হয়েছে। তবে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা নগর পরিবহনের বাসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এনায়েত উল্যাহ বলেন, “আমরা ঢাকা নগর পরিবহনের সাথে প্রতিযোগিতা নয়, তাদের সহযোগিতা করতে চাই।”

আরও পড়ুন-

Also Read: বাসে ই-টিকেট: ভাড়া নিয়ে ‘ক্যাচাল’ নেই, হুড়োহুড়ি আগের মতই

Also Read: ঢাকায় আরও ১৫ কোম্পানির বাসে ই-টিকেট

Also Read: মিরপুরের বাসে ই-টিকেট

Also Read: ঢাকায় ৩০ কোম্পানির বাসে রোববার থেকে ই-টিকেট