ঢাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এক অনুষ্ঠানে এত কূটনীতিকের উপস্থিতি নানা আলোচনার জন্ম দেয়।
Published : 09 Dec 2022, 09:10 PM
বিদেশি কূটনীতিকদের মিলনমেলার ছবি প্রকাশ করে মরক্কো দূতাবাস জানাল, ঢাকায় বিভিন্ন দেশের বিদায়ী ও নবাগত ছয় রাষ্ট্রদূতকে সংবর্ধনা দিতে বৃহস্পতিবার তারা ওই আয়োজন করেছিল।
বিএনপির সমাবেশের আগে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে মরক্কোর রাষ্ট্রদূতের বাসায় ওই অনুষ্ঠানে জনা ত্রিশেক কূটনীতিকের উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দেয়।
বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চেয়ে গত ৬ ডিসেম্বর বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪ দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই দিনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের ঢাকায় জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নয়া পল্টনে বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে তদন্ত দাবি করেন।
এ বিষয়গুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘হস্তক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তারই মধ্যে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সমবেত হওয়ার বিষয়টি আলোচনার জন্ম দেয়।
এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেইসবুকে আটটি ছবি প্রকাশ করে ওই মিলনমলার উদ্দেশ্য জানায় মরক্কো দূতাবাস।
সেখানে বলা হয়, তিন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতালির এনরিকো নানজিয়াতা, তুরস্কের মোস্তফা ওসমান তুরান এবং জাপানের ইতো নাওকিকে সংবর্ধনা জানানো হয় মরক্কো রাষ্ট্রদূতের বাসায়। অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সিলভার ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিদায় সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি ঢাকা মিশনে নতুন করে দায়িত্ব পালন করতে আসা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী কাশেফ আল-হামুদিকে স্বাগত জানানো হয় অনুষ্ঠানে।
মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম বর্তমানে ঢাকায় ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিনের দায়িত্বে রয়েছেন।