ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার, বিচার বিভাগ, সুশীল সমাজ ও তরুণদের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
Published : 24 Mar 2025, 02:18 PM
শিশুদের জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠায় অন্তবর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফ।
সোমবার সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইনের সংস্পর্শে আসা প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা ও তাদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং শিশুবান্ধব বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ হিসেবে বর্ণনা করে ইউনিসেফ বলেছে, এর মাধ্যমে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদসহ (ইউএনসিআরসি) আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে প্রণীত শিশু আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে৷
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেখানে শিশুর সমাজকল্যাণ ব্যবস্থার আওতায় সহায়তা প্রয়োজন, সেখানে তাকে ফৌজদারি বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে একটি শিশুবান্ধব ব্যবস্থা পাওয়া, পুনর্বাসনের প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। এটা এমন একটা ব্যবস্থা যেখানে শাস্তি দেওয়া নয়, পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করা হবে।”
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ২০২৪-এর গ্রীষ্মে তরুণেরা ন্যায়বিচার এবং আরও ন্যায্য একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার যে সাহসী দাবি তুলেছিল তারই ফলশ্রুতিতে এসেছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে এটা নিশ্চিত করার জন্য সহায়তা করে যাবে যেন শিশু ও তরুণদের নির্বিচারে আটক করা না হয়। অথবা তাদেরকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা না হয়।
“বরং সেখানে এমন একটি ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে তাদের বয়স বিবেচনায় নেওয়া হবে। তাদের সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল নিযুক্ত করা হবে; যেখানে পুনর্বাসনই হবে মূল লক্ষ্য।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিশুদের জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আদালতগুলো শাস্তির পরিবর্তে পুনর্বাসনের ওপর জোর দিয়ে শিশুদের জন্য বিশেষায়িত আইনি ও সামাজিক সেবা দেবে। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষিত বিচারক ও আইন পেশা সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে শিশু-সংবেদনশীল পরিবেশে বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।
ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার, বিচার বিভাগ, সুশীল সমাজ ও তরুণদের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আওতায় আদালত প্রতিষ্ঠা, বিচার সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং শিশুদের সুরক্ষা ও সেবা নিশ্চিতে সমাজসেবার ব্যবস্থাগুলো শক্তিশালী করতে সহায়তা দেবে সংস্থাটি।