“রাজধানীতে ভাঙা ও লক্কড়-ঝক্কড় বাসে অস্বাভাবিক ভোগান্তি নিয়ে লাখ লাখ নগরবাসী যাতায়াত করছে।”
Published : 30 Jan 2024, 08:31 AM
বর্তমান সরকারের আমলে সড়ক অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সড়কে শৃঙ্খলার দিক দিয়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে মনে করছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
অভিযোগ ও সমস্যার প্রতিকারে যাত্রীদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ না থাকায় পরিবহন খাতে যাত্রী হয়রানি বাড়ছে বলেও মনে করছে তারা।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় এই মন্তব্য করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক।
সাধারণ যাত্রীরা ‘অসহায়’ মন্তব্য করে তিনি জানান, এ কারণেই এবারের ‘যাত্রী অধিকার দিবসে’ সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রীদের অধিকারের দাবিতে সামনে এনেছেন।
মোজাম্মেল বলেন, “ক্ষমতাসীন সরকার যোগাযোগ খাতের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও সড়কে শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ততটাই পিছিয়েছে।
“যোগাযোগ সেক্টরে অবকাঠামো নির্মাণে লাখো কোটি টাকা ব্যয় হলেও রাজধানীসহ সারাদেশে শহর ও শহরতলীতে যাতায়াতে মানসম্মত গণপরিবহন নেই। রাজধানীতে ভাঙা ও লক্কড়-ঝক্কড় বাসে অস্বাভাবিক ভোগান্তি নিয়ে লাখ লাখ নগরবাসী যাতায়াত করছে।”
বাস মালিকদের 'প্রেসক্রিপসন' অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়- এমন অভিযোগ করে মোজাম্মেল বলেন, “বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে বাস মালিকদের সংখ্যা অনুপাতে যাত্রী বা ভোক্তা প্রতিনিধি রাখার বিধান আছে। তবে নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মালিক- শ্রমিক সরকার মিলেমিশে ভাড়া নির্ধারণ করছে। কখনও কখনও সরকার বাস মালিকদের 'পকেটে ঢুকে পড়ে’ ইচ্ছেমত ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
গণপরিবহনে ভাড়া নির্ধারণ ও সড়কে শৃ্ঙ্খলা বিষয়ে আইন ও বিধি তৈরি, সংযোজন ও সংশোধনে প্রতিটি কমিটিতে যাত্রী প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানানো হয় আলোচনায়।
সভায় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির লুৎফুন্নেসা খান বলেন, “এত বলার পরেও সড়কে নৈরাজ্য চলছে। গত দুই মাসে দেখতে পাচ্ছি রাস্তা পারাপারে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশি নিহত হচ্ছেন।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)