শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তর এক বার্তায় বলেছে, “হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সকল কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
Published : 07 Mar 2025, 01:38 PM
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, ও সেনা সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।
নিরাপত্তার কড়াকড়িতে জুমার নামাজ পড়তে আসা লোকজনের শরীর ও ব্যাগ তল্লাশিও করা হচ্ছে।
শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে হিযবুত ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।
হিযবুত কর্মসূচি পালন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃহস্পতিবার বিকালেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পরে মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠনটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তর আবারও সতর্ক বার্তা দিয়েছে হিযবুতকে নিয়ে।
“হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সকল কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ,” বলা হয়েছে বার্তায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া বার্তার পর জুমার নামাজের দুই ঘণ্টা আগে থেকেই বায়তুল মোকাররমের ফটকগুলোতে অবস্থান নেন র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
নামাজ পড়তে যারা ব্যাগ হাতে করে আসছেন তাদের তল্লাশি করছেন পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। কারও কারও কাছে পরিচয় ও আরও কিছু তথ্য জানতে চাইছেন তারা।
র্যাব-পুলিশের সদস্যদের হাতে গ্যাসগান, শটগানসহ দাঙ্গা দমনের সরঞ্জাম দেখা গেছে। আশপাশে পুলিশের সাঁজোয়া যান এবং জলকামানও রাখা হয়েছে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিযবুত তাহরীর, রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা এবং শরিয়া বাস্তবায়ন যাদের মূল লক্ষ্য।
দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা সংগঠনটি এখন অনেকটা প্রকাশ্যে তাদের কাজ চালাচ্ছে। শুক্রবার তারা বায়তুল মোকারমে কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে; বিভিন্ন জায়গায় লিফলেটও বিলি করেছে।