“এসব খবরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা”, বলা হয় প্রতিবাদলিপিতে।
Published : 12 Mar 2025, 12:19 AM
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘শৃঙ্খলা’ নিয়ে ভারতের ‘নির্দিষ্ট কিছু’ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর।
মঙ্গলবার এক প্রতিবাদলিপিতে আইএসপিআর বলেছে, “দ্য ইকোনমিক টাইমস ও দ্য ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের নির্দিষ্ট কিছু সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি যেসব খবর এসেছে, তা নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
আইএসপিআর বলছে, “এসব খবরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা। এসব খবরকে বাংলাদেশ এবং দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করার পরিকল্পিত অপপ্রচার মনে করে আইএসপিআর।”
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, “আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও সাংবিধাানিক দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“আমাদের চেইন অব কমান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সিনিয়র জেনারেলসহ সব সদস্য সংবিধান, শৃঙ্খলা ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আনুগত্যে অটল রয়েছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিদ্বেষপূর্ণ।”
আইএসপিআর বলছে, “বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। সবশেষ প্রতিবেদনের এক মাস আগেও গত ২৬ জানুয়ারি তারা একই ধরনের মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছিল।
“পেশাগত এ আচরণের কারণে এসব সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।”
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, “বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ও কয়েকটি ভুঁইফোর টেলিভিশন চ্যানেলও এসব খবর প্রচার করেছে, যা অপপ্রচারকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
“মনে হচ্ছে, তারা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলার পরিবর্তে গুজব ছড়ানো এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।”
আইএসপিআর মনে করে, “এ ধরনের খবর প্রকাশের আগে তাদের আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া কিংবা ঘটনা স্পষ্ট করে নেওয়া উচিত।”