“এক ঘণ্টা ধরে বাসে বসে আছি; বাস তো চলে না। দুই বাচ্চা নিয়ে তো হেঁটে যাওয়ার উপায়ও নাই,” বলেন এক নারী।
Published : 18 Nov 2024, 04:38 PM
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করায় চরম যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা থেকে বানানী পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া বনানী থেকে তেজগাঁও, তেজগাঁও থেকে বনানী, মহাখালীর আমতলী থেকে জাহাঙ্গীরগেইট এবং মহাখালী থেকে গুলশান পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এসময় যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে পৌছাতো দেখা যায়। আর্মি স্টেডিয়াম থেকে হেঁটে মহাখালী যাচ্ছিলেন রাসেল মাহমুদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়ি তো নড়ে না, কী করব বলেন? তাই হেঁটে চলে যাচ্ছি। গাড়িতে বসে থেকে তো সময় নষ্ট করে লাভ নেই।"
মহাখালী সরকারি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য মিরপুরের কালশী থেকে বাসে ওঠেন মাহমুদা আক্তার।
তিনি বলেন, “এক ঘণ্টা ধরে বাসে বসে আছি; বাস তো চলে না। দুই বাচ্চা নিয়ে তো হেঁটে যাওয়ার উপায়ও নাই। এক জায়গায় বসে থেকে কানতেছে।"
ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ আর্মি স্টেডিয়াম এলাকায় সঙ্গে বহন করা মালামাল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বাস ছাড়ার।
তিনি বলেন, “যাব নাবিস্কো; পেরিশানি লাগতেছে সময় নষ্ট হচ্ছে যাইতে পারতেছি না- এ জন্য মাথার মধ্যে টেনশন লাগতেছে। এরপর আরও জরুরি কাজ আছে আমার।"
বিজয় পরিবহনের চালক ইমরান হোসেন বলেন, "আমার সব যাত্রী নেমে গেছে। এত জ্যামের মধ্যে মানুষ থাকে?
“যে দুয়েকজন আছে তাদের অন্য বাসে তুলে দেওয়া যায় কি না দেখব।"
সোমবার বেলা ১১টার দিকে মহাখালীর আমতলী, মহাখালী কাঁচাবাজার এবং রেলক্রসিংয়ে কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে অবরোধ শুরু করে, যা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে নোয়াখালী থেকে আসা উপকূল এক্সপ্রেসে শিক্ষার্থীরা ঢিল ছোড়ায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে নোয়াখালী থেকে আসা উপকূল এক্সপ্রেস মহাখালী পার হচ্ছিল। এ সময় আন্দোলনকারীরা ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
“তারা ট্রেনে পাথর মারে। এতে পাঁচটি কোচের জানালার ২৯টি কাঁচ ভেঙে যায়। আর কয়েকজন যাত্রী আহত হন। আহতদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।"