গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে পুনঃতফসিলের ইঙ্গিত

উপ-নির্বাচনে অনিয়মে কারা দায়ী, কী শাস্তি পাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে পুরোটাই স্পষ্ট করবে ইসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2022, 07:22 PM
Updated : 16 Nov 2022, 07:22 PM

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও নতুন করে তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।

গত ১২ অক্টোবর এই উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় পুরো আসনের এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন করতে চাইছে ইসি।

সব কেন্দ্রের ভোট বন্ধের পর পুনঃভোটের তারিখ হবে, না কি নতুন করে তফসিল করবে কমিশন এ সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয় নি।

গাইবান্ধায় কি নতুন করে নির্বাচন হবে- বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে আনিছুর বলেন, “হ্যাঁ। আবার শিডিউল দিতে হবে এটার।”

তফসিল পুনরায় ঘোষণা হলে ওই নির্বাচনে নতুন করে আবার সব কিছু হবে। তা না হলে আগের প্রার্থীদের মধ্যে ভোট সীমিত থাকবে।

তবে ইসি সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ সংক্রান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত এখনও তারা জানেন না।

উপ-নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, অনিয়মে জড়িতদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

কারা দায়ী, কী শাস্তি পাচ্ছে-আগামী সপ্তাহে পুরোটাই স্পষ্ট করবে ইসি।

আনিছুর বলেন, “আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব, কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে) ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। সবাই তো আর একই অপরাধে অপরাধী হবেন না।…আইন-বিধি অনুযায়ী অপরাধর মাত্রা দেখে শাস্তিটা নির্ধারণ করা হবে।”

তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কি হবে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এককভাবে বলতে পারব না। এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। ইসি সিদ্ধান্ত নেবে প্রকাশ করা হবে কি না।”

কূটনীতিকের বক্তব্যে মন্তব্য করতে নারাজ

বাংলাদেশের ভোট নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনার আনিছুর।

তিনি বলেন, “এটা কোন প্রেক্ষাপটে কী বলেছে, এটা তারাই ভালো জানেন। এ বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে মন্তব্য করতে চাই না। এটা কূটনীতিকদের নিজস্ব এখতিয়ার; সেটা সত্য কী মিথ্য তারাই জানেন ভালো।”

তবে সাবেক এ সচিব মনে করেন, এমন বিষয়ে মন্তব্য করার আগে ভেবে-চিন্তে কথা বলা উচিৎ। বিদেশি কূটনীতিকদের এর মধ্যে না আসাই ভালো।