মাস্ক পরার পাশাপাশি, উড়োজাহাজগুলোর বাড়তি সতর্কতা ও ভাইরাসের লক্ষণযুক্ত কাউকে পেলে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
Published : 13 Jan 2025, 09:14 PM
দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্তের খবরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে।
বিমানবন্দর ব্যবহারকারী লোকজন, এয়ারলাইন্সগুলো ও বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সেখানে মাস্ক পরার পাশাপাশি, উড়োজাহাজগুলোর বাড়তি সতর্কতা ও ভাইরাসের লক্ষণযুক্ত কাউকে পেলে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য দুটি নির্দেশনা
বিমানবন্দর এলাকায় সকল যাত্রী, কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের প্রয়োজনে ফেইসমাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা।
বিমানবন্দর এলাকায় কারও জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্তের কোনো লক্ষণ দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা।
উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর জন্য তিন নির্দেশনা
যে দেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি দেখা দিয়েছে, সেখান থেকে আসা উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা।
এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইটে এ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ থাকা কোনো যাত্রী পেলেই তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা।
কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিশ্চিত করা।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য দুই নির্দেশনা
এইচএমপি ভাইরাসের লক্ষণযুক্ত কেউ শনাক্ত হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
সকলকে তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠিতে বলা হয়, সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কঠোরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো সাধারণ ফ্লুর মতই। যেটি দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই নিরাময়যোগ্য।
এ ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে প্রয়োজনে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকের নম্বরে (০১৭৯৯৪৩০০৩৩) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এবারের শীতে চীনের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশুরা এ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ভারতেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। আর বাংলাদেশে একজনের আক্রান্তের খবর মিলেছে রোববার।
এরপর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাসহ সাতটি পরামর্শ দিয়েছে। যদিও এর চার দিন আগেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. হালিমুর রশিদ।
এ ভাইরাসে সাধারণত শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির ঠান্ডা, সর্দিকাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, র্যাশ ওঠার মত লক্ষণ দেখা যায়। উপসর্গ মৃদু। তবে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার মত মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সংক্রমণ নিয়ে এখন পর্যন্ত যদিও উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন-
এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে মানতে হবে যেসব সতর্কতা
দেশে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
এইচএমপিভির মহামারীর রূপ নেওয়ার আশঙ্কা নেই: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী