“অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে এমএসএফ।”
Published : 14 Jan 2025, 07:14 PM
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকের পর ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার মৃত্যুতে ‘ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
মঙ্গলবার এমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামালের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটকের পর মারা যান ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবদুর রহমান (৩৪)।
ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়, “সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের আবদুর রহমান (৩৪) ও হাবিবুর রহমানকে (২৫) রোববার রাত ৪টার দিকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটকের পর মারধর করা হয় তাদের। সকালে দুজনকে সোপর্দ করা হয় সোনাইমুড়ী থানায়।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশে সোপর্দ করার পর স্বজনেরা থানায় গিয়ে দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থার অনুরোধ জানান।
“পরে দুজনকে বিকাল ৫টায় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ সাড়ে ৫টার দিকে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর আবদুর রহমান মারা যান।”
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজিব আহমেদের দেওয়া বক্তব্যের বরাতে এমএসএফ বলছে, “আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনে। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুজনেরই শরীরে জখম ছিল। তবে কাটাছেঁড়া ছিল না।
“স্বজনদের দাবি, আটকের পর মারধর এবং সময়মত চিকিৎসা না দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ অভিযাগ অস্বীকার করেছে। ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা ‘নির্যাতনে মৃত্যু’র অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে এমএসএফ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় এমএসএফ তীব্র ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”