দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Published : 24 Mar 2024, 01:58 PM
ঘোষিত আয় বহির্ভূত সোয়া কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার মামলায় সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব প্রশান্ত কুমার রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার তিনি ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রশান্ত কুমারের আইনজীবী রফিকুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছরের ১৮ জুলাই হাই কোর্ট সাবেক এই সচিবকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
“জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আমরা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বেশ কয়েকবার শুনানির জন্য সময় চাই। এই আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। আমরা উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করিনি। এখন আমরা আবার হাই কোর্টে যাব তার জামিনের জন্য।”
রোববার জামিন আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম।
‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের’ সাবেক পরিচালক প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৫ জুন ঢাকায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
প্রশান্ত কুমারের বাড়ি খুলনার বাটিয়াঘাটা থানার গোপ্তমারী গ্রামে। ঢাকায় থাকেন মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়িতে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রশান্ত কুমার রায় এবং তার ওপর নির্ভরশীলদের নামে কয়েকটি ব্যাংকের ১২টি শাখায় খোলা হিসাব নম্বরে বিভিন্ন সময়ে ১৩ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ টাকা জমা এবং ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৭২ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবী হিসাবে এই লেনদেন অস্বাভাবিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ।
“আসামির দুই মেয়ে অস্ট্রেলিয়া পড়াশোনা করেন। তাদের খরচ মেটানোর কথা বলে প্রশান্ত কুমার ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠানোর পাশাপাশি হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অর্থ সেখানে পাচার করেন “
দুদক বলছে, আসামির ভাগ্নে মনোজ কুমার ৩৫ বছর ধরে স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করছেন। তার নামে দেশে থাকা ভূমির আমমোক্তার নিযুক্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে ওই ভূমি ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিক্রি করে তা আয় দেখিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার অপপ্রয়াস চালান। জমি বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ৫০ লাখ টাকা তিনি ভাগ্নে মনোজ কুমারকে হুন্ডির মাধ্যমে দেন, যা দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি।”