৬১ অধ্যক্ষের এমপিওতে ‘অনিয়ম’: কারিগরির সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে মামলা

এসব অধ্যক্ষ ৯ বছরে বেতন ভাতার সরকারি অংশ প্রায় ১৯ কোটি টাকা ‘অবৈধপন্থায়’ উত্তোলন করেছেন, বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2022, 03:42 PM
Updated : 22 Sept 2022, 03:42 PM

অনিয়মের মাধ্যমে ৬১ কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজের ৬১ জন অধ্যক্ষকে এমপিও প্রদান করার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক নিতাই চন্দ্র সূত্রধরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

সংস্থার উপ পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, কমিশনের উপ সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় সাবেক মহাপরিচালক নিতাই ছাড়াও অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

২০১০ সালের ২১ অগাস্ট ওই ৬১টি কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজের অধ্যক্ষদের এমপিও দেওয়া হয়েছিল বলে মামলার তথ্য থেকে জানা যায়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ‘কাম্য’ অভিজ্ঞতা না থাকার পরও ৬১ কলেজের অধ্যক্ষদের এমপিও দেওয়ায় সরকারের প্রায় ১৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ।

এতে বলা হয়, ২০১০ সালের মে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেতন ভাতার সরকারি অংশ ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা তারা ‘অবৈধপন্থায়’ উত্তোলন করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আইসিটি শাখার ‘মোস্তাফিজ’ নামক ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ৬১ জন অধ্যক্ষকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন ছাড়াই এমপিও প্রদান করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধান ও সাক্ষীদের বক্তব্যে তথ্য উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, “ওই ‘মোস্তাফিজ’ নামক ইউজার আইডির ব্যবহারকারী হচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি তৎকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।”

ওই ৬১ অধ্যক্ষের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে অনুমোদন বা এ সংক্রান্ত অফিস নোটের বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, “মোস্তাফিজুর রহমান তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনোরূপ যাচাই বাছাই এবং প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে ৬১ অধ্যক্ষকে এমপিও তালিকাভুক্ত করেছেন।”

প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই ৬১ অধ্যক্ষের এমপিও প্রদানে মহাপরিচালক নিতাই চন্দ্র সূত্রধরের ‘মৌন সম্মতি’ ছিল মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে বলা হয়, “ডাটাবেজের মাধ্যমে এমপিও তালিকাভুক্তির বিষয়টি তৎকালীন মহাপরিচালক অবগত থাকা সত্বেও তিনি কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, বরং এতে মৌন সম্মতি প্রদান করেছেন।”

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।