অবশিষ্ট জবানবন্দি ও জেরার জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর দিন রেখেছেন বিচারক।
Published : 17 Jan 2024, 12:22 AM
এক দশক আগে সাভারের রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক প্রাণহানির ঘটনায় যে হত্যা মামলা হয়েছিল, তার সাক্ষ্যগ্রহণে তেমন গতি না পেলেও এগোচ্ছে ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগের মামলার সাক্ষ্য। ঢাকার বিশেষ বিভাগীয় জজ আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলামের জবানবন্দি নিচ্ছেন বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান।
রোববার এ আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন এস এম মফিদুল ইসলাম। তবে এদিন জবানবন্দি শেষ হয়নি। অবশিষ্ট জবানবন্দি ও জেরার জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর দিন রেখেছেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলাটিতে ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। গত ২৩ অগাস্ট মফিদুল ইসলাম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। ২০১৭ সালের ২১ মে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনেরমাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। সোহেল রানার বাবা আব্দুল খালেক মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সোহেল রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান রাসেল, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব। আসামিদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও ফারজানা ইসলাম পলাতক। সোহেল রানা কারাগারে আছেন। অপর ছয় আসামি জামিনে আছেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তন্ময় হাউজিং লিমিটেড নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন।
ওই ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানকে বিদায় করে দেন। পরে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাক কারখানা স্থাপন করা হয়। এরপর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে ১০ তলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয় তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়।
রানা প্লাজা ধসের পর দুদকের উপ পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের ওই কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)