সাত কলেজ নিয়ে বিদ্যমান জটিলতা নিরসনে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন অধ্যক্ষ ইলিয়াস।
Published : 28 Jan 2025, 04:36 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধীন মুক্ত হওয়া সাত কলেজের চলমান পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।
মঙ্গলবার কলেজে শিক্ষার্থী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সাত কলেজের যে পরীক্ষাগুলো চলমান আছে, সেগুলো চলবে।”
সাত কলেজ নিয়ে বিদ্যমান জটিলতা নিরসনে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন অধ্যক্ষ ইলিয়াস।
তিনি বলেন, “পরীক্ষাগুলো যদি সচল থাকে, ক্লাসগুলো যদি চালু রাখতে পারি আর সরকার যে পরিকল্পনায় আগাচ্ছে সেটা যদি সঠিকভাবে চলে তাহলে এদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে। সেটা যদি ঠিকভাবে হয় আশা করি সমস্যা হবে না।”
পরীক্ষা শুরু হলে তাতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আশা করছেন এই শিক্ষক।
“আহ্বান করি শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক। রাষ্ট্রীয় যে সিদ্ধান্ত সেটাও চলমান আছে। আশা করি, ছাত্ররা তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো বিবেচনায় নিয়ে ক্লাসমুখী হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট এলাকায় রোববার গভীর রাত পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে।
ছাত্রদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও আশা করছেন অধ্যক্ষ ইলিয়াস।
৭ কলেজের অচলাবস্থা কাটবে কী করে, মাথায় আসছে না শিক্ষা উপদেষ্টার
সংঘর্ষের পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে সাত কলেজকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন।
এর অংশ হিসেবে ২০২৪-২৫ সেশন, অর্থাৎ চলতি বছর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধের কথা বলা হয়।
কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
গত অগাস্টে ক্ষমতায় পালাবদলের পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলে আসছিলেন, অধিভুক্তির কারণে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় ভুগতে হয় তাদের। নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে তারা নানা সমস্যায় পড়েন।
সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে আনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।