আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি ঝুঁকি এখন দেশের জন্য মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই, এটা সময়ের দাবি।”
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা ক্লাবে ইলেকট্রনিক্স সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত ‘অগ্নিঝুঁকি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন বলে ইসাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ফায়ার সেইফটি নিশ্চিতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভবন নির্মাণের সময় অবশ্যই বিল্ডিং কোড মানতে হবে। সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জরুরি।”
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় শিগগরিই সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনায় বসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়েছে। ৮০ ডলার থেকে বর্তমানে আমরা ৪৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছি। এখন ফায়ার সেইফটি খাতে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করা জরুরি। আমাদের এখন নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনস ও মেইনটেইনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “উন্নত দেশে পরিণত হতে গেলে সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্মাণ ব্যয়ের ২ শতাংশ এ খাতে খরচ করতেও অনেকে কার্পণ্য করেন। এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসাবের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. নিয়াজ আলী চিশতি। তিনি বলেন, “জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অত্যাধুনিক অগ্নি সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। ৯৫ শতাংশ অগ্নিকাণ্ডের জন্য মানুষ দায়ী।”
ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ব্যানার ও পোস্টার টানানো হয়েছে জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান তিনি।
ইসাবের মহাসচিব জাকির উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি আলী আহমেদ কায়সার, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. জিল্লুর রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বক্তব্য দেন।