এই প্রথম কোনো নির্বাচন হতে যাচ্ছে যেখানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি প্রার্থী দেয়নি, কাউকে সমর্থনও করেনি।
Published : 07 May 2024, 01:04 AM
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক যুক্ত হওয়ার পর এবারই ‘অভিনব’ একটি ভোটের অপেক্ষা, যেখানে দলীয় প্রার্থী নেই বললেই চলে।
কাগজে কলমে প্রার্থীদের সবাই দল নিরপেক্ষ বা স্বতন্ত্র। ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুযোগে তৈরি হওয়ার পর এমন চিত্র আর দেখা যায়নি।
এ নির্বাচনের প্রার্থীদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। অথচ নৌকা মার্কার কোনো প্রার্থী নেই, কারো প্রতি স্থানীয় পর্যায় থেকে সমর্থনও ঘোষণা হয়নি, যা এর আগে কখনো ঘটেনি।
গত কয়েক বছরের নির্বাচনের তুলনায় এবার প্রচার পর্বে সংঘাত সহিংসতা তুলনামূলক কম। প্রার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও কম শোনা গেছে।
জাতীয় নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি স্থানীয় সরকারের ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তেও অটল। তবে প্রথম ধাপে যে কটি উপজেলায়ে ভোট হচ্ছে তাতে দলটির স্থানীয় পর্যায়ের ৮০ জনের মত নেতাপ্রার্থী হয়েছেন, তাদের সবাই স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপি নেতা এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রচারে বাধা বা এ ধরনের অভিযোগ খুব বেশি করেননি।
সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি দলীয় প্রতীক দিলেও প্রথম পর্বের ভোটে তাদের প্রার্থী কেবল ৪ জন। এর বাইরে জেপির দুই জন, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী একজন।
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ- জানিপপ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এখানে নানা ধরনের উদ্ভাবন, মাত্রা যোগ হয়ে এ নির্বাচনে। দলের প্রতীকে ভোট করছে না, আবার দল ভোটেও আছে স্থানীয় নির্বাচনে। এটা একটা অভিনব মাত্রা, নতুন ধরনও বলা যায়।”
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আনঅফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে।”
বিএনপি ও সমমনাদের ভোট বর্জনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা না করে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কৌশল গত জাতীয় নির্বাচনের কৌশলের একটি বিস্তৃত রূপ। ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে ৩০০টির মধ্যে শ দেড়েক আসনে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ’ তৈরিতে সহায়ক ছিল।
দলের কৌশল সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “প্রতীক ছাড়া করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে— এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে।”
এই কৌশল ভোটার উপস্থিতি বাড়াবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মোর্চা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের সাবেক পরিচালক আব্দুল আলীম।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগেরও দলীয় প্রার্থী নাই। সেই হিসাবে আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক দল হিসেবে এই নির্বাচনটা বয়কট করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছে। তার মানে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। ফলে এক শ্রেণির মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। সেক্ষেত্রে ভোটের হার ২০১৪ বা ২০১৯ সালের চেয়ে কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি।”
দলীয় প্রতীক না থাকলেও বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের ভেতরের বিভিন্ন বলয়ের লড়াই হবে। বহু উপজেলায় পরোক্ষভাবে বিএনপিও আছে।
অন্তত ২৮টি উপজেলায় বিএনপির নেতারা চেয়ারম্যান পদে ৩০টির মত উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০টির বেশি উপজেলায় সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। বিএনপি এদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিলেও একজন ছাড়া কেউ ভোটের ময়দান ছাড়তে রাজি হননি।
তাদের অনেকের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও আছে বলে মনে করেন আব্দুল আলীম। তার মতে, বর্জন না করে দলটি নির্বাচনে গিয়ে দেখতে পারত, ‘কী হয়’।
“স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে পারত। নির্বাচন অবাধ না হলে তখন তারা আবার এটা নিয়ে কথা বলতে পারত।”
এসব নানা সমীকরণের ফল জানতে অপেক্ষা আর বেশি নয়। তিন সপ্তাহের প্রচার শেষ হয়েছে সোমবার মধ্যরাতে। বুধবার রায় দেবেন ভোটাররা।
এবারের ভোটের প্রচারে সংঘাত সহিংসতা আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম। এখন অপেক্ষা ভোটের দিনের চিত্র কী হয়।
ভোটার উপস্থিতি কি বাড়বে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব মিলিয়ে আমার মনে হচ্ছে, অনেক আসনে নির্বাচন খারাপ হবে না। কিন্তু মূলত দেখার বিষয় হচ্ছে, প্রার্থীদের পক্ষের লোকেরা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন।”
তবে ‘পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক’ নির্বাচন হবে না মত দিয়ে তিনি বলেন, “কিছু জায়গায় বিএনপির যেসব প্রার্থী অংশ নিয়েছে, তারাও জিতে যেতে পারে। সেদিক থেকে নির্বাচন একেবারেই জনবিচ্ছিন্ন হবে বলে মনে হয় না।”
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ এর চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের এ উপজেলা নির্বাচনের গুণগত কিছু পার্থক্য রয়েছে; এক করে দেখা যাবে না। সার্বিকভাবে এবারের উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হবে কিংবা টার্ন আউট খুব কম হবে- এটা ভাবা ঠিক হবে না।
“৭ জানুয়ারির ভোটের হারের (৪২ শতাংশ) চেয়েও উপজেলা ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে।”
চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নানা ধরনের হিসাবনিকাশ থাকায় ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক ভালো হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কী বলছে
আওয়ামী লীগ চাইছে উৎসবমুখর ভোট। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লী সভাপতি দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে সে কথাই বলেছেন।
ক্ষমতাসীন দল কোনো প্রার্থী দেয়নি বা কাউকে সমর্থন দেয়নি। এমনকি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীদের স্বজনদেরকে প্রার্থী হতে নিষেধও করেছে। কিছু উপজেলায় নির্দেশনা না মেনে প্রার্থী অবশ্য আছে। তবে সংখ্যাটি খুব বেশি নয়।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পঁচাত্তরের পর এবারের ভোট (সংসদ নির্বাচন) সবচেয়ে ভালো হয়েছে। উপজেলায়ও এরকম ভোট চাই। উৎসবমুখর ভোট হলে ভালো।”
যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে ভোট বর্জনের নীতিতে অটল বিএনপি। দলের নির্দেশ অমান্য করে যারা ভোটে এসেছেন তারা ‘সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ’ করেছেন- এমন অভিযোগ এনেছেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থানও তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, “‘তথাকথিত’ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করুন। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। জনগণকেও বর্জন করতে উৎসাহিত করুন। গণতন্ত্রের পক্ষ নিন, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন।”
এক নজরে উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপ
আরো নতুন অভিজ্ঞতা
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি সংশোধন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ সহজ করা হয়। এতদিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের যে তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হত, এবার তা দিতে হয়নি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এবার প্রথমবারের মতো সাদাকালোর সঙ্গে রঙিন পোস্টারও ছাপাতে পেরেছেন প্রার্থীরা। তবে জামানতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবার।
চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।
প্রথমবারের মত অনলাইনেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে সব প্রার্থীকে।
ইসির বার্তা
যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করার ওপর তাগিদ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “দেশে নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
“যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে৷ বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।”
ভোট সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিনিধি, প্রার্থী, ভোটারদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন।
আর কোনো দিন ‘ভোট চুরি’ কিংবা ‘ডাকাতির’ ঘটনা ঘটবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, “ভোটে কোনো প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলার চাদরে ঘেরা থাকবে প্রতিটি কেন্দ্র।
“কোনো কেন্দ্রে বিন্দুমাত্র সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আবারও ভোট নেওয়া হবে।”
নির্বাচনি এলাকায় গিয়ে কারো প্রচারে না যাওয়ার পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি অনুসরণে সংসদ সচিবালয়কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, “রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যেই হোক না কেন, অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
ফিরে দেখা
সবশেষ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ ভোট হয় পাঁচ ধাপে ২০১৯ সালে। সেবার সব মিলিয়ে পাঁচ ধাপে গড়ে ভোট পড়ে ৪১ শতাংশের বেশি।
বিএনপি ভোটে না থাকায় সেবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকায় ভোট করে ২৮৮ জন উপজেলা চেয়ারম্যান হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে ১৩১ জন জেতেন চেয়ারম্যান পদে, তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন প্রণয়নের পর থেকে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক দলগুলো। অতীতে একজনকে প্রতীক দিলে আরেকজন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।
এর আগে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত আগের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়।
প্রথম চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।
দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর এবার স্থানীয় নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তেরকথা জানিয়ে রেখেছে তারা।
আরও পড়ুন:
উপজেলা ভোটে মন্ত্রী-এমপিরা নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না:ভোটারদের বিএনপি
উপজেলা ভোট:প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ জন
সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলায় বেশি ভোটার আসবে:ওবায়দুল কাদের
নৌকা ছাড়া ভোটের'কৌশল'কেমন ফল দিল
উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ভোটের হার নেমে এল ৩৬ শতাংশে
উপজেলায় পঞ্চম পর্বে ভোটের হার ৬১ শতাংশ
দেশে আর কোনো দিন'ভোট চুরি'হবে না:ইসি আহসান হাবিব