ইউনিসেফ বলছে, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বাড়ে।
Published : 05 May 2024, 08:52 PM
তাপমাত্রা কমাতে নগর পরিকল্পনায় গাছপালা যেন বেশি, থাকে সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
রোববার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তীব্র তাপপ্রপবাহ সংক্রান্ত অসুস্থতা মোকাবেলায় জাতীয় নীতিমালা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “দেশজুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা হয়তো আগামী বছরও আসবে। এটা চলতে থাকবে, বাড়তেও পারে। জলবায়ুর ওপর কারও হাত নেই। কিন্তু নগর বাস্তবায়নের সময় বিষয়গুলো নজরে রাখলে ভালো হবে।”
ডা. সামন্ত লাল বলেন, “ক্লাইমেটের ওপরে কারও হাত নাই। আমরা কেউ কিছু করতে পারব না। তবে আমি মনে করি, নগর বাস্তবায়ন যখন হয়-এই যে আমাদের ঢাকা শহরে আমি খবর নিয়েছি, ঢাকার বাইরে গরম বেশি নেই।
“কিন্তু ঢাকা শহরে গরম হওয়ার কারণটা কী। গাছপালা বেশি নেই, সব কেটে ফেলা হয়েছে। সুতরাং এগুলোর দিকে যদি নজর দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো তীব্রতা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।”
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গরমের মধ্যেও মানুষকে কীভাবে সুস্থ্য রাখা যায় তা নিশ্চিত করা। এজন্যই এই গাইডলাইন করা হয়েছে। দেশজুড়ে চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“নির্দেশিকাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমি নির্দেশনা দিয়েছি। এরইমধ্যে অনলাইনেও এটি নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যে গরমের মধ্যে কী করা যায়, কী করা যাবে না। আমরা সচেতনতামূলক লিফলেট স্কুলেও বিতরণ করেছি।”
অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে উচ্চ তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে এই গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছে। এতে সহায়তা করেছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বাড়ে। তাপপ্রবাহ না থাকা সময়ের তুলনায় তাপপ্রবাহের সময়ে এই হার ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর মানে হলো, তাপপ্রবাহের সময়ে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাপপ্রবাহ যত বেশি এবং যত তীব্র হবে ঝুঁকি তত বাড়বে। বাংলাদেশে অপরিণত শিশু জন্মের হার ১৬ দশমিক ২ শতাংশ।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, আহমেদুল কবীর, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।