“সন্ধ্যা ৭টার দিকে সারজিস আলম ও আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিই। এরপর থেকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে”, বলেন শাহবাগ থানার ওসি।
Published : 02 Jan 2025, 10:22 PM
ঢাকার শাহবাগে সড়কে অবস্থান নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার আহতরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালের সামনে শাহবাগ থেকে ফার্মগেটমুখী সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে আধা ঘণ্টার জন্য ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিকিৎসার মান নিয়ে আহত এসব আন্দোলনকারীর সঙ্গে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের মনোমালিন্য হয়েছে। পরে তারা শাহবাগ মোড়ে সড়কে অবস্থান নেন।
“খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম শাহবাগে আসেন। পরে সারজিস ও আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিই। তারা সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরে যান। এরপর থেকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আসলে বলতে পারব না তারা কেন সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা আমার কাছে কোনো দাবি দাওয়া বলেনি। বললে তো আমি মিটমাট করতাম।”
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা।
সেদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার সময় ‘সব আহতকে দেখতে না যাওয়ায়’ বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তারা উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দেন। কিছু সময় পর উপদেষ্টা ওই হাসপাতাল ত্যাগ করলে বেলা ১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শ্যামলী থেকে আগারগাঁও যাওয়ার সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন।
পরে রাত ৩টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাদের আশ্বাসে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়েন তারা।
পরদিন সচিবালয়ে এ নিয়ে বৈঠক করে আহতদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় ২০২৪ সালের জুলাইয়ে। ওই সময় দেশে ৮২৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গণ অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল।
এছাড়া ১১ হাজার ৩৮১ জন আহতের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে আহতের সংখ্যা আরও বেশি।