গ্রেপ্তারের সময় হাই কোর্টের জামিনের কপি দেখালে পুলিশ তা আমলে নেয়নি বলে কলেজছাত্রের পরিবারের অভিযোগ।
Published : 24 Jul 2023, 05:27 PM
জামিনে থাকা কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ফের হাই কোর্টে আসতে হবে আগামী রোববার।
ওইদিন এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ আদেশের এ দিন ঠিক করে দেয়।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার কলেজছাত্র মো. আশ্রাফুল হাওলাদারকে হাই কোর্টের জামিনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করায় হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও এএসআই মিজানুর রহমানকে আদালতে তলব করে।
সোমবার এ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়েছিলেন।এর আগের দিনও তারা আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালতে আশ্রাফুল হাওলাদারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন রেখে ওইদিন আদেশ দেওয়া হবে বলে জানায়।
গত ২০ মে জামিন পাওয়া এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় সংবাধমাধ্যমে। এ ঘটনায় হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৮ মে রাতে আসামি মো. আশ্রাফুল হাওলাদারকে তার বাড়ি থেকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশকে হাই কোর্টের জামিনের কপি দেখালে পুলিশ তা আমলে নেয়নি বলে দাবি আসামির পরিবারের।
পরিবারের অভিযোগ, আটকের পর পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তা দিতে না পারায় পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। পরে হাই কোর্টের জামিননামা দেখে ওইদিনই দুপুরে আসামিকে ছেড়ে দেন পটুয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জামাল হোসেন।
আশ্রাফুল হাওলাদার পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বাজারঘোনা গ্রামের আব্দুল লতিফ হাওলাদারে ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গত ২১ মে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা।
১৮ জুন আদালতে হাজির হয়ে ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও এএসআই মিজানুর রহমান নিঃশর্ত ক্ষমা চান। আদালত ফের তাদের ২৩ জুলাই আদালতে আসতে বলে।
সেদিন আশ্রাফুল হাওলাদারের আইনজীবীকে পুলিশের সঙ্গে তার কথোপকথনের বিষয়টি হলফনা আকারে জমা দিতে বলে আদালত। সে অনুযায়ী আশ্রাফুল হাওলাদারের আইনজীবী ২৪ জুলাই আদালতে হলফনামা জমা দেন।
সেদিন শুনানির এক পর্যায়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে আদালত তাকেও হলফনামা আকারে তাদের বক্তব্য জমা দিতে বলে।
এ সময় দুই পুলিশ কর্মকর্তার আইনজীবী তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চাইলে আদালত বলেন, “আসতে হবে।”