‘আমরা তো তিমির বিনাশী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে চলছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণের প্রস্তুতি।
Published : 31 Mar 2024, 09:37 PM
বাংলা বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রার পোস্টারে এবার জায়গা করে নিয়েছে রিকশা আর্ট।
মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসারকেন্দ্র আয়োজিত কর্মশালা এবং মুক্ত আহ্বানে পাওয়া গিয়েছিল ৩৬টি পোস্টার। সেখান থেকে ১৪৩১ সালের শোভাযাত্রার জন্য এ বি এম শাফিউল আলমের আঁকা পোস্টারটি নির্বাচন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসান হোসেন, শিল্পী তরুণ ঘোষ ও শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য এ বাছাই করেন।
অধ্যাপক নিসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিকশা আর্ট ইনট্যানজিবল হেরিটেজ ঘোষিত হওয়ায় আমরা এবারের পোস্টারে রিকশা আর্টের বৈশিষ্ট্য রাখার চেষ্টা করেছি।”
কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙ্ক্তি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে চলছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণের প্রস্তুতি।
বরাবরের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করছে মঙ্গল শোভাযাত্রার, যেটিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে শুরু হবে পহেলা বৈশাখ ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের।
অধ্যাপক নিসার বলেন, “আমরা এযাবৎ মঙ্গল শোভাযাত্রায় যত প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি, তা সবই বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের লেখা থেকে নেওয়া। খেয়াল করলাম যে আমাদের সাহিত্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি জীবনানন্দের কোনো পঙ্ক্তি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
“তাই এবার কবির ‘তিমির হননের গান’ কবিতার একটি লাইন আমরা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি। এটি তরুণ প্রজন্মের মুখে উচ্চারিত হবে।”
গত শতকের আশির দশকে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙার আহ্বানে পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল; সেটিই পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ নেয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায় এ কর্মসূচি।
সাধারণত চারুকলা অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রস্তুতির দায়িত্ব পালন করে থাকে। সে অনুযায়ী এবার অনুষদের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতির মূল দায়িত্বে থাকছে। তারা শোভাযাত্রার বিভিন্ন মোটিফ ও শিল্পকর্ম তৈরি করছেন।
প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও শিল্পকর্ম বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা হবে। অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্পকর্ম তৈরি করবেন।