পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ফেরত আসা জেলেরা নিরাপদে তাদের বাড়ি ফিরেছেন।
Published : 02 May 2024, 11:00 PM
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সীমান্তের নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ১০ জেলেকে ৩৬ ঘণ্টা পর ছাড়ল মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে জেলেদের ছাড়া হয় বলে জানান, উখিয়ার ইউএনও তানভীর হোসেন।
জেলেরা হলেন- উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২) এবং একই ইউনিয়নের পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫)।
বুধবার সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফ নদীর অংশের মোদিরখালে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় ১০ জেলে।
এক পর্যায়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির একদল সদস্য এসে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নিয়ে যায় বলে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান।
ইউএনও তানভীর বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুধবার দুপুরে তাকে জানান।
পরে বিষয়টি বিজিবিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
এরপর থেকে তুলে নেওয়া জেলেদের ফেরত আনতে বিজিবিসহ সীমান্ত সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা শুরু করেন জানিয়ে ইউএনও বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি ১০ জেলেকে ছেড়ে দেয় আরাকান আর্মি।”
ইউএনও আরও বলেন, “বাংলাদেশের সীমান্তে আসার পর এসব জেলেদের বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।”
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ফেরত আসা জেলেরা নিরাপদে তাদের বাড়ি ফিরেছেন। তাদের কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে জেলেরা জানিয়েছে।”