ওয়ারীর এক বাসা থেকে চুরি হয় ৩৩ ভরি ও ৩০০ টাকা, ধানমন্ডির বাসা থেকে চুরি যায় ৪১ ভরি অলঙ্কার ও নগদ ৩৭ লাখ টাকা।
Published : 02 May 2024, 10:40 PM
রাজধানীর ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে বাসা বাড়ি থেকে চুরি করা ৬১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধারের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এদের মধ্যে ওয়ারীর একটি বাড়ি থেকে ৩৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার করা হয় ২০ ভরি। ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া ৪১ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের পুরোটা উদ্ধার করা হয় চার জনের কাছ থেকে।
আরো ২২ জনকে গ্রেপ্তার করার জানালেও তাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তারাও জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যেত বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা ) হারুন অর রশীদ জানান, ওয়ারীতে চুরির পর দুই দলনেতা ৮ বন্ধুসহ কক্সবাজারে ঘুরতে যান এবং একজন তার বান্ধবীকে মোবাইল ফোন উপহার দেন।
চোর চক্র রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা বাসাবাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়।”
বাকি ২২ জনকে মতিঝিল, লালবাগ, গুলশান এবং মিরপুর বিভাগ গ্রেপ্তার করে।
ওয়ারীতে চুরি ৩৩ ভরি
গত ৮ এপ্রিল ওয়ারী থানার অভয়দাস লেনের এক বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে ৩৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং তিনশত ডলার চুরি করে দুর্বৃত্তরা এ সময় বাসায় কেউ ছিল না।
এই ঘটনায় মামলা হলে ওয়ারী বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশ মোবারক ওরফে মগা নামে একজনকে বাগেরহাট এবং রাকিব মিয়া নামে আরেকজনকে নেত্রকোণা থেকে গ্রেপ্তার করে।
সদ্য ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করা এই দুই জন এই চুরির মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. শেখ ফরিদ ছাড়াও মো. ডালিম এবং সাদ্দাম হোসেন বনিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
“মোবারক তার চোরাই করা টাকা দিয়ে বান্ধবীকে মোবাইল ফোন কিনে দেয়। মোবারক ও রাকিবসহ আটজন এই চুরি ঘটনার পর কক্সবাজারে গিয়ে আনন্দ ফুর্তি করে”, বলেন হারুন অর রশিদ।
ধানমন্ডিতে চুরি ৪১ ভরি
ধানমন্ডি থানায় করা একটি চুরির মামলার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ধানমন্ডি ১১ নম্বর সড়কের একটি বাসার কর্তা গত ১৩ এপ্রিল দেশের বাইরে যান। ৬দিন পর দেশে ফিরে মামলায় ৪১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৩৭ লাখ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ আনেন।
এরপর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা পরিচয় শনাক্ত করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেপ্তার করে চুরি হওয়া ৪১ ভরিই অলঙ্কারই উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ লাখ টাকা।
গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ ১৪ জন, লালবাগ বিভাগ ও গুলশান বিভাগ ৩জন করে এবং মিরপুর বিভাগ ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।