“বিকাল থেকে গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছি; এখানে প্রায় ২০০/২৫০ জন অবস্থান করছি,” বলেন ‘মুখপাত্র’ রুমান কবির।
Published : 21 Oct 2024, 06:05 PM
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শাহবাগে ‘অনশন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী।
সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে বেলা ১২টা থেকে তারা অবস্থান নেন; এরপর বিকাল থেকে অনশনের কথা জানান আন্দোলনকারীদের ‘অন্যতম মুখপাত্র’ রুমান কবির।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা এখনও শাহবাগে, বিকাল থেকে গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছি। এখানে প্রায় ২০০/২৫০ জন অবস্থান করছি।
“যতক্ষণ অফিসিয়াল ঘোষণা না আসছে, ততক্ষণ আমরা অনশন চালিয়ে যাব।”
অনশন শুরুর আগে রুমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি আমরা পালন করছি।
“আমরা ৩৫ এর প্রজ্ঞাপন নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরব। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আজ (সোমবার) শাহবাগ ছাড়ব না।”
'৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী' ব্যানারে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদের আরেকজন মো. জনি বলেন, “আমরা আজকের ভেতর ৩৫ এর প্রজ্ঞাপন চাই। এর চেয়ে কম হলে আমরা কেউই মেনে নেব না।”
সরকারি চাকরিতে প্রবেশ: পুরুষের ৩৫, নারীর ৩৭ বছর করার সুপারিশ
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: মুয়ীদ চৌধুরী
অনশন শুরুর আগে তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন দেওয়া না হবে, আমরা শাহবাগ ছেড়ে যাব না।”
শাহবাগে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। তারা ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে দুপুরে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন হচ্ছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়।
শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরাল হলে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আন্দোলনকারীদের দাবি পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও নারীর ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলেছেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কত হওয়া উচিৎ?
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার চিঠি জনপ্রশাসনে
গত ১৪ অক্টোবর তিনি বলেন, “সরকারি চাকরির বয়সের ব্যাপারে আলোচনা করে এখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।…মহিলারা যেন সুযোগটা বেশি পায়, সেজন্য বয়স ৩৭ দেওয়া হয়েছে; পার্শ্ববর্তী দেশেও তা আছে । আর সবার জন্য ৩৫ সুপারিশ করা হয়েছে।
“(বয়সসীমা) কোনো গ্রেডের জন্য আলাদাভাবে বলা হয়নি, সার্বিকভাবে সব সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা হয়েছে।”
ওই সুপারিশের পর এখনো সরকারের পক্ষ থেকে বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।