তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার শরীরের ৯ শতাংশ পুড়েছে।
Published : 01 Mar 2025, 03:06 PM
ঢাকার আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধদের মধ্যে শোয়াইদ ইবনে তাহমিদ নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুর দেড়টায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
তিনি বলেন, “আগুনে তার শরীরের ২৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।”
শোয়াইদের মৃত্যুতে তার পরিবারের তিনজন মারা গেলেন। তার তিন মাস বয়সী বোন সুমাইয়াও ওইদিনের আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। পরিবারের সেই কেবল এখন বেঁচে রয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় একটি বাসায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগে তিন শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধরা হলেন- জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সূর্য বানু (৫০), সোহেল মিয়া (৩৮), সুমন মিয়া (৩২), শিউলি আক্তার (৩২), শারমিন আক্তার (৩৫), শামিম (১৫), মাহাদী (৭), শোয়াইদ (৪) ও সুমাইয়া (৩ মাস)।
দগ্ধ এগারো জনকে সেদিন গভীর রাতে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে আনা হয়।
ওইদিনের আগুনে শোয়াইদের বাবা সুমনের শরীরের ৯৯ শতাংশ, মা শারমিনের শরীরের ৪২ শতাংশ এবং বোন সুমাইয়ার শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে যায়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে মারা যান সুমন; শারমিনের মৃত্যু হয় তিন দিন পর, ১৯ ফেব্রুয়ারি। এতে ওই আগুনের ঘটনায় সুমনের পরিবারের চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হল। সুমনের বোন শিউলির মৃত্যু হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে।
১৪ ফেব্রুয়ারি বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে সৃষ্ট আগুনে আহত হয়েছিলেন সুমনের বড় ভাই সোহেল মিয়া। শরীরে ১০ শতাংশ পোড়া নিয়ে তিনিও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসা শেষে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তাকে।
সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শনিবার বলেন, “আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীর পর তাদের ছেলেটাও চলে গেল। তাদের সন্তান সুমাইয়াকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। সে এখন সুস্থ আছে। আর আমাদের বোন শিউলিও মারা গেছে ওই আগুনে।”
সোহেল বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি ও সুমন আশুলিয়া এলাকায় চাকরি করেন। ছোট বোন শিউলি সুমনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেজন্য তিনিও ওই বাসায় গিয়েছিলেন।
“আমি আর সুমন আলাদা বাসায় থাকি। বোন আসায় সেদিন ভোট ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। ওইদিনের আগুন আমাদের পরিবারের চারজনকে কেড়ে নিল।”