“হাই কোর্টে কোনো হস্তক্ষেপ হবে, এটা আমি চিন্তাও করি না”, বলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা
Published : 11 Aug 2024, 10:21 PM
আপিল বিভাগের মত হাই কোর্ট বিভাগেও ‘সংস্কার’ প্রয়োজন বলে মনে করেন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রোববার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। তবে সংস্কার বলতে কী বোঝাতে চাইছেন, সে ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
হাই কোর্ট বিভাগ ঢেলে সাজানো প্রয়োজন মনে করেন কি না প্রশ্ন করা হলে আসাদুজ্জামান বলেন, “অবশ্যই মনে করি। যে কারণে জনরোষ তৈরি হয়েছে, হাই কোর্ট বিভাগে কেন হবে না।”
“হাই কোর্টে কোনো হস্তক্ষেপ হবে, এটা আমি চিন্তাও করি না” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সিন্ডিকেট কেউ করে থাকলে আমাদের জানাবেন। জানানো মাত্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কোনো সিন্ডিকেট করবেন না বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পঞ্চম দিনে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের ছয় জন বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
সেদিন প্রধান বিচারপতি ফুল কোর্টের বৈঠক ডাকার পর তার পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এর আগে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুহ সজীব ভূঁইয়া ফেইসবুক পোর্টে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছে। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।“
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি অনুযায়ী হাই কোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন প্রধান বিচারপতি দ্রুত দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জায়গাটি উন্নত করবেন বলেও তিনি আশা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্যান্য অনেক অফিসের মত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার পদেও বদল হয়।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের বেছে নেওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। পরে নিয়োগ পান আসাদুজ্জামান, যিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। তবে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার সময় রাজনৈতিক পদ ছেড়েছেন তিনি।
ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের অনেকেই পদত্যাগ করেছেন এবং অনেকের কক্ষে তালা লাগানো আছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমরা অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করব।”
বিচারাঙ্গনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটাই হল অনিয়মের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। আশা করি মানুষের সেই আশার আলোয় প্রভাবিত হয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার।”