১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ হাসানের লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
Published : 13 Feb 2025, 11:47 PM
পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ প্রোফাইল মিলিয়ে গত অগাস্টে গণ অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ।
শুক্রবার ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ হাসানের লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার।
লাশ শনাক্ত হওয়া হাসান ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় এলাকায় নিহত হন। তিনি কাপ্তান বাজারে একটি ইলেকট্রিকের দোকানের কর্মী ছিলেন।
গত ছয় মাস ধরে তার লাশসহ মোট সাতটি শনাক্ত না হওয়া লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পড়ে রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে একজন নারী ও পাঁচজন পুরুষের লাশ রয়েছে।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, “হাসানের ডিএনএ ম্যাচ করছে। ওদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যে দালিলিক কাজকর্ম সেটা আমাদের দিক থেকে শেষের পথে। আমরা ওর পরিবারকে লাশ বুঝিয়ে দেব।“
হাসানের চাচা নূরে আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানার কাছে গুলিতে মারা যান হাসান। সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে আনার পর কিছুটা বিকৃত লাশ দেখে তখন শনাক্ত করা যায়নি। এ কারণে গত ১২ জানুয়ারি পরিবারের লোকেরা এসে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে ডিএনএ নমুনা দিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সেই ডিএনএ ম্যাচ হওয়ার কথা তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “ওই সময় ফেইসবুকে যাত্রাবাড়ীর একটা লাশ দেইখা মনে হইছে এইটা আমাগো হাসান। পায়াজামা-পাঞ্জাবী পরা, মুখে হালকা দাড়ি ছিল আর পায়ে একটা তার প্যাঁচানো ছিল। তখন মুখ কিছুটা নষ্ট হইয়া যাওয়ায় চেনা যায়নি।”
ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের মনির হোসেন ও গোলেনুর বেগমের চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে হাসান বড়। যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন।
হাসানের চাচা নূরে আলম বলেন, শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে।