বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আর্টস-এ প্রকাশিত কিছু লেখা

admin
Published : 14 Dec 2010, 01:11 PM
Updated : 14 Dec 2010, 01:11 PM

[২০০৭ সালে শুরু থেকে আর্টস্-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো থেকে বাছাই করা কিছু লেখার লিংক একসাথে এখানে দেয়া হলো।-বি.স.]

ইতিহাসের দায় ও সাহিত্যের অভিপ্রায়

মফিদুল হক | ২৭ মার্চ ২০১০

দেশভাগের বাস্তবতা বাংলায় বয়ে এনেছিল বিশাল এক অবাঙালি জনগোষ্ঠীকে যারা নিজেদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন 'মুসলমানের আবাসভূমি'-তে। তারা বয়ে এনেছিলেন ভিন্ন ভাষা ভিন্ন সংস্কৃতি এবং বাংলা তো সবসময়ে ভিন্নতাকে আলিঙ্গন করেছে, মিলনে মিশ্রণে বাঙালি সংস্কৃতি পেয়েছে নতুন প্রাণময়তা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ছিল কুটিল জটিল চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি।
পুরোটা পড়ুন

আমি যখন গোপন অবস্থান থেকে বের হয়ে আসি ততদিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। আমার বাঙালি বন্ধুরা আমাকে সাহায্য করে, আশ্রয় ও আহার যোগায়, যত্ন-আত্তি নেয় এবং ভালোবাসা, প্রীতি ও করুণায় সিক্ত করে। তাঁরা আমার সিঙ্গাপুর যাওয়ার বিমান-ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়, যেখানে আমি নতুন জীবন শুরু করি, উন্মোচিত হয় জীবনের আরেক অধ্যায়, আমার মাতৃভূমি আমার পিতৃভূমি সিন্ধু থেকে বহু বহু যোজন দূরে।
পুরোটা পড়ুন

স্মৃতি: ষোলই-ডিসেম্বর ঊনিশ শ' একাত্তর

রবিউল হুসাইন | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯

হঠাৎ এক মুক্তিযোদ্ধা বন্ধু আমার পোশাকের দিকে তাকিয়ে বেশ কড়া সুরে বলে উঠলো, খুব আরামেই ছিলে। আমরা যুদ্ধ করে মরি আর তোমরা দেখা যাচ্ছে কোট-টাই পরে বেশ আরাম-আয়েশেই ছিলে। তারপর দুহাতে বুকে জড়িয়ে ধরে হুঁ হুঁ করে কেঁদে উঠলো, ভাঙা গলায় আবার বলে উঠলো, আমরা সত্যিই কি স্বাধীনতা পেলাম আমরা কি সত্যিই স্বাধীন হলাম, না কি স্বপ্ন দেখছি।

সাংস্কৃতিক মানচিত্রে মিরপুর

মফিদুল হক | ৭ মে ২০০৯

কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে হাজারো মানুষকে হত্যা করার প্রায় এক ইণ্ডাস্ট্রিয়াল মেথড, মানুষের নিষ্ঠুরতা ও পাশবিকতার অতলস্পর্শী পতন। তবুও বিজয়ের আনন্দ ও মাহাত্ম্য তা কোনোভাবে খর্ব করতে পারে না, কেননা সেই বিজয় ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের, দানবের বিরুদ্ধে মানবের। কিন্তু বাংলাদেশের বিজয়ের সঙ্গে বেদনার যে মিশেল তার নিকট তুলনা খুঁজে পাওয়া ভার।

মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র

আহমাদ মাযহার| ২৭ মার্চ ২০০৯

যুদ্ধশেষে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে যে চলচ্চিত্র কর্মীরা মাঠে নেমেছিলেন তার পরিচয় মেলে ঢাকায় নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা থেকেই। ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল ৩৩টি, ১৯৭০ সালে সেটা বেড়ে হয়েছিল ৪১টি, যুদ্ধের আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছাড়া ১৯৭১-এ আর কোনও ছবি নির্মাণ সম্ভব ছিল না। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে যুদ্ধের আগের নির্মীয়মান ছবিসহ ৭২ সালেই ২৯টি ছবির মুক্তি পাওয়ার মধ্যে নিশ্চয়ই উদ্দীপিত চলচ্চিত্র-সমাজেরই পরিচয় পাওয়া যায়।
পুরোটা পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি: ছত্রপুর, ময়মনসিংহ

শামসুজ্জামান খান| ২৬ মার্চ ২০০৯

আমাদের মিটিং যখন শেষ হয়েছে ঢাকায় তখন শিয়াল-কুকুরের মতোই মানুষ মারার সব আয়োজন সম্পন্ন করছে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। এবং গভীর রাতে শুরু হয়েছে ইতিহাসের সেই নিষ্ঠুরতম অভিযান। ২৬ শে মার্চ ছিলো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক এলাকার আমরা তখন যে যার মতো ঘরে বসে আয়েস করছি বা কোনো কাজ। কেউ কেউ বাজার করতে গেছেন শহরে। আগের রাতে ঢাকায় কী ঘটে গেছে তার কিছুই জানি না তখনো। এমনি সময় খবর এলো উপাচার্য কাজী ফজলুর রহিম তক্ষুনি সকল শিক্ষক, কর্মচারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিশালার সামনে সমবেত হতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

সংযোজন: রৌরববাস, ২৫ মার্চ ১৯৭১

মীর ওয়ালীউজ্জামান | ২৫ মার্চ ২০০৯

জীবনে প্রথম চলন্ত ট্যাঙ্কের ধাক্কায় ব্যারিকেড গুঁড়িয়ে যেতে দেখলাম। সাঁজোয়া গাড়িগুলো রাস্তার অল্প আলোয় কালচে দানবের মতো নিউমার্কেটমুখো গড়িয়ে গেল। ভেরিলাইট পিস্তল থেকে ছোঁড়া আলোকসম্পাতী লাল-নীল-সবুজ-হলুদ আলোর মালাগুলো এলিফ্যান্ট রোড-নিউমার্কেট-পিলখানা এলাকা দিনের মতো উদ্ভাসিত করে তুলছে। পাকিরা ওপর দিকেও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ছে অবিশ্রাম, বোধকরি ঢাকাবাসীকে ব্যাপকভাবে আতঙ্কিত করা ওদের লক্ষ্য।
পুরোটা পড়ুন

পদ্মাপারের কড়চা

মীর ওয়ালীউজ্জামান | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮

যাবি কিভাবে? খালা চিন্তিত মুখে বলেন, এখানে থানা অফিসাররা সবাই সাইকেলে ট্যুর করে। আর পেতে পার ঘোড়ার গাড়ি। বাহ্, তাহলে তো বেশ হয়, পান্নুভাই জেগে উঠে জায়গা মতো তার মতামত দেন। এখান থেকে নাড়–য়ার পথে প্রথমে পড়বে আউয়াল ভাইয়ের ডাক্তারখানা, নিরুখালা আবার চিন্তামগ্ন হন, কিন্তু তাকে তো সব সময় বালিয়াকান্দিতে পাবে না। সাতদিন এখানে তো পরের সপ্তাহে রাজবাড়ি–এই তার রুটিন।
পুরোটা পড়ুন

শিমূলের বিজয়োৎসব

মীর ওয়ালীউজ্জামান | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮

ওরা চারজনে পথে নামে আবার। ছোট্ট মহকুমা শহর। ছোট ছোট টিনের বাড়ি। সিলেট অঞ্চলে সেসময় অধিকাংশ বাড়িঘর ঐ বাংলো মতোই তৈরি করা হত। বড় বাংলোগুলোর বয়স বহু দশক পেরিয়েছে। টেকসইও বটে। এসডিও'র অফিস-বাসা পার হয়ে ওরা মুন্সেফ ইফতেখার রসুলের বাড়ির সামনে পৌঁছে গেল। সন্ধ্যে ঘনিয়েছে। ইফতি সাহেব একা থাকেন। পরিবার ঢাকায়। শিমূল লম্বা পা ফেলে, বাগানের ফুলগাছে হাত ছুঁইয়ে, বারান্দায় উঠে কড়া নাড়ল, মুন্সেফ সাহেব কি আছেন বাড়িতে?
পুরোটা পড়ুন

—-
ফেসবুক লিংক । আর্টস :: Arts