পরাজয় মানে না মানুষ (৫ম পর্ব): জলে ও ডাঙায় মৃত্যুর মিছিল

হাবীবুল্লাহসিরাজী
Published : 21 July 2020, 06:10 PM
Updated : 21 July 2020, 06:10 PM

২৯.০৬.২০২০
সোমবার

যে ধাক্কা আজ দিনের প্রথমভাগের সব আয়োজন তছনছ ক'রে দিলো তা হ'লো ঢাকার সদরঘাটের লঞ্চডুবি। সকাল আটটা নাগাদ মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে 'মর্নিং বার্ড' নামের একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সদরঘাটের নিকটবর্তী হ'তেই 'ময়ূর-২' নামের আরেকটি লঞ্চ মর্নিং বার্ডের পেছনে ধাক্কা মারে। ফলে সলিলসমাধি ঘটে মর্নিং বার্ডের ৩৪ জন যাত্রীর। ঘটনাটি যেমন দুঃখজনক তেমনি অনভিপ্রেতও বটে। গ্রীষ্ম-বর্ষা ব'লে কিছু নেই, নৌ-দুর্ঘটনা থেকে বুঝি কোনোক্রমেই আমরা রেহাই পাবো না! কখনো তা ঘটবে ত্রুটিপূর্ণ নৌযানের কারণে, আবার কখনো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য। দায় কিন্তু চালক-মালিক পর্যন্ত গড়ায়। অন্যদিকে পালাপার্বণ এলে যাত্রীরাও অসহিষ্ণু হ'য়ে ওঠে। মোদ্দাকথা, জীবন যেন কখনো-কখনো আমাদের কাছে খেলার মার্বেল। কোন গর্তে কে পড়লো কিংবা কার মাথা কোথায় উড়ে গেলো–সে খেয়াল না রাখলেও বুঝি চলে।

বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ ক'রলেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সেই গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে উপ-পরিচালক হিশেবে একাডেমিতে যোগ দিয়ে পরিচালক হিশেবে অবসরে যান নব্বইয়ের দশকে। পরবর্তীতে মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কার্যকালও ২০০৯ সালে শুরু হ'য়ে শেষ হয় ২০১৮ সালে। সভাপতি হিশেবে তাঁর বর্তমান অবস্থান বাংলা একাডেমির জন্য এক নতুন মাত্রা।
অদ্ভুত সঙ্গে-সঙ্গে হাঁটছে। তবে কি সে ছায়া? কিন্তু ছায়ার জন্য তো আলোর প্রয়োজন। এখন আলো নেই, তার মানে অদ্ভুত ছায়া নয়। ছায়াহীন-আলোহীন এই অদ্ভুত আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে আছে, এমনভাবে সেঁটে গেছে গা-গতরে যে মূল চেনা-ই দায়।
মূল কি?
মূল হ'চ্ছে ভুল থেকে বেরিয়ে এসে কূল ধরা। কিংবা, ঝুল দিয়ে হুল ফোটানোর আয়োজন ভণ্ডুল করা। তবে কোনোটাই সম্ভব না হ'লে, মূলকে সহসাই সুতোর সঙ্গে সুঁইয়ের পিছনে পরিয়ে অগ্রভাগে ফুল তোলা যেতে পারে। সে ফুলের নানা রং, নানান ঘ্রাণ, ভিন্ন-ভিন্ন ব্যবহার।


অদ্ভুতের দায় তো ফুরায় না! অদ্ভুতকে নিয়ে জন্মের কাছে যেতে হয়, আর অদ্ভুত নিজেই পৌঁছায় মৃত্যুর দোরগোড়ায়। জন্ম-মৃত্যু এই অদ্ভুতখেলায় প্রাণ-প্রকৃতির লীলা চ'লছে।
…"আনিসুজ্জামানের অপূর্ব কথকতায় আমরা মুক্তিযুদ্ধে এক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীর নিবিড় সম্পৃক্ততার বিবরণ ছাড়াও পেয়ে যাই মুক্তিসংগ্রামের ধারাবাহিক ইতিহাস, পাই ইতিহাসের অন্তরালবর্তী মানুষজনের সজীব পরিচয়। অসাধারণ গদ্যভাষায় অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে ব্যক্তিগত অবলোকনের যে-ছবি আনিসুজ্জামান মেলে ধরেন, নিছক স্মৃতিকথায় তা আর সীমিত থাকে না, হ'য়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিক ইতিহাসের অনন্য আকর।"
প'ড়ছিলাম জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বিরচিত গ্রন্থ 'আমার একাত্তর'। যে বক্তব্যটি উদ্ধৃত হ'লো, তা যেন ভেতরমহল উন্মুক্ত করার মর্ম-আহ্বান। জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম, যাত্রার পশ্চাতে ইতিহাস এবং সম্মুখে ভূগোল রেখে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হ'য়েছিলো। স্বাধীনতার সেই রক্তাক্ত আয়োজনের এক অনন্য বুদ্ধি-সৈনিক হ'লেন আনিসুজ্জামান। 'আমার একাত্তর' তাই শুধু তাঁর একার নয়, আমাদেরও।


০৫.৭.২০২০
রবিবার

আষাঢ়ের আকাশের মন বোঝা দায়। ক্ষণে আনন্দ তো ক্ষণেই বিষাদ। এই আনন্দ-বেদনার মধ্যেই সংকটে ও সংশয়ে একেকটি দিন অতিবাহিত হ'চ্ছে। করোনার মরণকামড়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুঝি চ'লছে জলখেলা। এ খেলার তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ, দাপটে ভেসে যাচ্ছে বসতবাটি। নদীর উন্মাতাল নৃত্যে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার প্রকোপে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সম্পদহানীর সঙ্গে প্রাণ-সংশয়ের চিত্র বুঝি শেষ হবার নয়।


বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে বিশিষ্ট লেখিকা মকবুলা মঞ্জুর ৮২ বছর বয়সে গত শুক্রবার মারা গেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্র্রি লাভ ক'রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি দৈনিক সংবাদপত্রে ফিচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ক'রেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে কালের মন্দিরা, অবসন্ন গান, আত্মজা ও আমরা, বাউল বাতাস, নক্ষত্রের তলে ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার', 'অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার', 'বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার'সহ অন্যান্য বহুবিধ সম্মাননা।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ক'রেছে। ঐতিহাসিক সেই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আসামি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ. বি. মুহাম্মদ খুরশিদ গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোগমন করেছেন।
দূরের এবং কাছের সকল যোগাযোগের ক্ষেত্রে লেগেছে পরিবর্তনের ঢেউ। ফলে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টি ঢিলেঢালা হ'তে-হ'তে খ'সে পড়ার উপক্রম। জীবনের মাপকাঠি সম্পর্কে ধারণার ভূগোল কি অন্য মানচিত্র দেবে?
অনেকদিন আগে পড়া বিনয় মজুমদারের 'কবিতা বুঝিনি আমি' এবং 'হাসপাতালে লেখা কবিতাগুচ্ছ' সামনে চ'লে এলো। বিনয় কি কেবলি বিষাদ এনে দিলো, নাকি তাতে আনন্দও ছিলো?
"y = f (Xa1, Xb1, Xc1………….. x1)
This is the most general equation
under which comes every mathematics
composed of numbers"

অংক তো সংখ্যা দিয়ে হ'লো, কিন্তু প্রাণ-সমীকরণের স্থিতিরূপ কি?
"আমরা দুজনে মিলে জিতে গেছি বহুদিন হল।
……..
আমার ঠিকানা আছে তোমার বাড়িতে,
তোমার ঠিকানা আছে আমার বাড়িতে,
চিঠি লিখব না।
আমরা একত্রে আছি বইয়ের পাতায়।"
বিনয় কি ভাঁড়ার শূন্য ক'রে চ'লে যাওয়ার মধ্যেই জীবনের দেখা পেয়েছিলেন?

০৮.০৭.২০২০
বুধবার

মধ্যসাগরের ঢেউও কিন্তু একসময় কূল পায়, থেমে যায়। তা ঢেউয়ের উচ্চতা নিয়ে কথা, তোড় নিয়ে হট্টগোল, ফেনা নিয়ে যতো আয়োজনই থাকুক–বালি ঠোঁট স্পর্শ ক'রলে সব ঠান্ডা। তবে বিরতি জানে না বুঝি কোভিড-১৯ ভাইরাস। তার অন্তের কোনোই দিশা মিলছে না।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের সরকারি-বেসরকারি দেশি-বিদেশি সকল নিবেদন বুঝি নস্যাৎ হ'তে চ'লেছে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য ভার্চুয়াল কর্মকাণ্ডেরও তল পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ১৫ই আগস্ট সীমিতভাবে গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন পর্ষদের জুমের সহায়তায় ভার্চুয়াল সভা চ'লছিলো। এর মধ্যে সংবাদ এলো সাহিত্যিক আলম তালুকদার আর নেই।


সন্ধ্যার প্রাক্কালে যেন এলোমেলো হ'য়ে গেলো ভেতরমহল। তাঁর পোশাকি নাম মো. নূর হোসেন তালুকদার। জন্ম টাঙ্গাইল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। খুব বেশিদিন নয় অবসরে গেছেন। সদা হাস্যরসে ভরপুর মানুষটি ম'জে থাকতেন ছড়া-কবিতায়। মুখে-মুখে মিল ক'রে উঠতো ঝলমল। সাহিত্যের আয়োজনে আলমের ছড়াপাঠ ভিন্ন এক আমোদের জন্ম দিতো। মুক্তিযোদ্ধা এই বীর তাঁর ঘৃণার তালিকায় শীর্ষে রেখেছিলেন 'রাজাকার' শব্দটি। গদ্যে ও পদ্যে তাঁর বিহারের স্থলটি ছিলো একদম নিজস্ব।
করোনা ভুলিয়ে দিচ্ছে, ঝাঁকিয়ে দিচ্ছে আশ্রয়ের খুঁটি থেকে বিশ্বাসের মাটি। জন্ম ও মৃত্যুর প্রচলিত ধারণার বাইরে তৈরি হ'চ্ছে অসম্ভবের অদৃশ্য ছায়া। বিশ্বাসের স্থলে এবং বিজ্ঞানের অবস্থানে ধ'রেছে চির। তবু ভরসার লাঠি যে মাটিতে একদিন ভর দেবে তা তো মানুষ মানতেই পারে।
"শপথ তিন [ডুমুর] ও জায়তুন (জলপাই)-এর, শপথ সিনাই প্রান্তরস্থ তুর পর্বতের আর শপথ এ-নিরাপদ নগরীর। আমি তো সৃষ্টি করেছি মানুষকে শ্রেষ্ঠতম অবয়বে।"- সুরা তিন।
"আর তিনিই মানুষকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন।' – সুরা লুকমান।
"আল্লাহ তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর শুক্রবিন্দু থেকে;" – সুরা ফাতির।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সংকলিত 'কোরানসূত্র' গ্রন্থখানি কোরান শরীফের কোষগ্রন্থ হিশেবে বিবেচনা করা হয়। সৃষ্টি ও মানুষ এক মিলিত যাপনে জীবনের সূত্রে গ্রথিত। মাটি, জল, রক্ত, হাওয়া… তাই তো একে অন্যের পরিপূরক।
"তিনি তোমাদের একই ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তার মধ্য থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন।" – সুরা জুমার।


১৬.০৭.২০২০
বৃহস্পতিবার

ভোর ঝুলে ছিলো তো জোর টানে তাকে মাটিতে নামালাম। মাটি ব'লতে তো সেই সিঁথির মতো সরু একফালি বারান্দায় ক'টি টবের মধ্যে জমাটবদ্ধ কিছু গেরুয়া বস্তুর অস্তিত্ব। তবে তাই দিয়েই যে আলো-জলের প্রাণবাড়ি! সেথায় বসত করে মূল-শিকড়ি মিঠে আলু আর পাতা-সোহাগি পুঁইবাহারি। তাদের যে প্রতাপ, তাতে সূর্যঠাকুর আর ঘরে ব'সে থাকতে পারেন না, এমনকি, বুড়িগঙ্গাও খুলে দেন নেত্রপথ। ঝলোমলো রোদ এবং টলোমলো ধারায় গতরাতের অবসাদ ও বিরক্তি গেলো উবে। করোনার বাহানায় ফেসবুক লাইভ আজকাল সন্ধ্যা প'ড়তে না প'ড়তেই সাহানারাগে ঝাঁপ দেয়। আর, মধ্যরাত অব্দি ঘোরঘরামির সেই জোরতুবড়ি বুঝিবা টেলিভিশনের নাগাল পেতেই মাত করে মহল্লা। ওয়ারীতে কিন্তু এখন লকডাউন চ'লছে।
সংস্কৃতিবান্ধব রাজনীতিবিদ সাহারা খাতুন চ'লে গেলেন। একসময় যেমন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, আবার তেমনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন ক'রেছেন গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনকে জনমুখী ক'রতে। তাঁর কর্মফল যেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়।
ভাষাসংগ্রামী ডা. সাঈদ হায়দার পরলোকগমন ক'রেছেন। প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ থেকে মাতৃভাষা আন্দোলনে তাঁর অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্রে স্মরণ ক'রবে।
অন্যদিকে আজ আমরা হারালাম বিশিষ্ট বিজ্ঞানসেবী অধ্যাপক আলী আসগরকে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হ'চ্ছে : ভাষা ও বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও সমাজ, পরিবেশ ও বিজ্ঞান, বিজ্ঞান প্রতিদিন, সময় প্রসঙ্গে, বিজ্ঞানের দিগন্তে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হ'য়েছিলো ৮০ বছর।
মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হ'চ্ছে। আমাদের স্বপ্ন ও আঙ্ক্ষার উচ্চতাগুলো একে-একে কাল ও সময়ের থাবায় ভূমিতে পতিত হ'চ্ছে।
মাত্র ক'দিন আগে আমাদের ছেড়ে গেলেন বাংলাভাষার অন্যতম বিজ্ঞানলেখক শিশির কুমার ভট্টাচার্য। প্রয়াত হ'লেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক এ. বি. এম. হোসেন।
এ মুহূর্তে দেশে করোনা সংক্রমণের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা যেতে পারে। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা ৯৯৩২৯১, শনাক্ত ১৯৬৩২৩ এবং মৃত্যু ২৪৯৬। অপরদিকে আজ নমুনা পরীক্ষা হ'য়েছে ১২৮৮৯ জনের, শনাক্ত রোগী ২৭৩৩ জন, মৃতের সংখ্যা ৩৯ জন।

শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পরিভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই উচ্চশিক্ষা আবার যদি বিজ্ঞান কিংবা প্রকৌশলে হয়, তবে তো তার রূপচিত্র ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুধাবন ক'রতে হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি প্রকাশ ক'রেছে ড. মোঃ কামরুল ইসলাম প্রণীত প্রকৌশল পরিভাষাকোষ। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় একটি কাজ। আমাদের প্রকৌশল শিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষা বাংলা নতুন মাত্রা ব'লে আমার বিশ্বাস।" প্রকৌশল বিষয়ে বাংলা ভাষায় পুস্তক রচনা ও পাঠদানের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম প্রয়োজন সঠিক পরিভাষা। …কোনো পরিভাষাকোষকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও চূড়ান্ত বলা ঠিক হবে না। প্রয়োজনের তাগিদে নতুন নতুন পরিভাষার উদ্ভব হবে এবং পরিভাষাকোষের আয়তন বৃদ্ধি পাবে। যাঁরা বাংলায় উন্নতমানের প্রকৌশল গ্রন্থ রচনা করবেন তাঁদের কাজ সহজতর করবে এই গ্রন্থ।"