অতি চতুর স্ত্রীলোক কিছুতেই চুলার কাছে থাকবে না, কিন্তু সকলের উপস্থিতির সময় এমন করে সবাইকে বেড়ে বেড়ে খাওয়াবে যেন মনে হবে সকল আয়োজন তার হাতেই সম্পন্ন হয়েছে।
Published : 07 Apr 2024, 10:22 PM
আনিসুজ্জামানের 'জাদুঘরে কেন যাব' প্রবন্ধটি একসময় এইচএসসিতে পাঠ্য ছিলো। প্রবন্ধটি ক্লাসে পড়াতে মজা পেতাম খুব। এই প্রবন্ধে লেখক আনিসুজ্জামান তাঁর একটি চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, যেটা আজকের দিনের সঙ্গে দারুণভাবে মিলে যায়। বিষয়টি হলো, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান ঢাকার জাদুঘর উদ্বোধনের সময় লেখককে প্রশ্ন করেছিলেন যে, মিউজিয়ামে যে আল্লাহর কালাম রাখা আছে, তা জাদু কিনা, আল্লাহর কালাম রাখা সেই ঘরকে 'জাদুঘর' বলা উচিত কিনা। এই 'আল্লাহর কালাম' বলতে মোনায়েম খানের মনে হয়েছিল তুগরা হরফে লেখা নুসরত শাহের আশরাফপুর শিলালিপিকে। যা মূলত ষোলো শতকে এক মসজিদ প্রতিষ্ঠার বৃত্তান্ত সংবলিত প্রস্তরখণ্ড।
নিঃসন্দেহে আল্লাহর কালাম কিছুতেই জাদু নয়। বরং এই কালাম মুসলমানদের যাপনের বীজমন্ত্র। কোটি কোটি মুসলমান এই কালামে বিশ্বাস স্থাপন করে মনের ভক্তি স্রষ্টার প্রতি নিবেদন করে থাকেন। সে ভক্তি নিঃসন্দেহে শক্তিশালী।
কিন্তু তুগরা হরফে মসজিদ প্রতিষ্ঠার বৃত্তান্তকে যে মোনায়েম খান আল্লাহর কালাম বানিয়ে শব্দটি 'জাদুঘর' হবে নাকি 'মিউজিয়াম' হবে সেটাকে জোরের সঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন তাতে তাঁর কি যথেষ্ট নেকি হাসিল হলো? 'মিউজিয়াম' তো ইহুদিদের ভাষা। মোনায়েম খানের বানানো 'আল্লাহর কালাম' 'মিউজিয়াম'-এ কীভাবে গুনাহছাড়া থাকতো-- পেলে প্রশ্ন করতাম।
তুগরা হলো উসমানীয় সুলতানদের ক্যালিগ্রাফিক মনোগ্রাম, সিল বা স্বাক্ষর যা বিভিন্ন সরকারি দলিল ও চিঠিতে ব্যবহার করা হতো। গুরুত্বপূর্ণ দলিলের জন্য সুন্দর কারুকাজ করা তুগরা তৈরি করা হতো। এসব নিদর্শন উসমানীয় যুগের শিল্পের চিহ্ন।
বাংলাদেশের মোনায়েম খান মার্কা মনের বাঙালি মুসলমানদের জন্য একবার ২০১৫ সালের দিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় দারুণ এক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন-- যেখানে সেখানে মূত্র বিসর্জন রোধ করার জন্য। রাস্তার পাশের সম্ভাব্য মূত্রবিসর্জনের এলাকার সামনের দেয়ালে 'এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ' কথাটি বাংলায় না লিখে আরবি ভাষায় (হুনা মামনুউত্তাবুল) লিখে দেওয়া হয়। এতে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারটা কাজ করবে বলে ভাবা হয়েছিলো। এই বিষয়টি নিয়ে ভালো কিছু প্রামাণ্যচিত্র তৈরি হয়েছিলো সে সময়ে। ফলে হরফের আবেগে যত্রতত্র মূত্রবিসর্জনের মতো অস্বাস্থ্যকর একটি কাজ কমে গিয়েছিলো সেই সময়।
হরফের আবেগে অনেক কিছুই ঘটতে পারে জগতে। অজ্ঞতাজনিত আবেগ বা ভক্তিরও এক ধরনের শক্তি থাকে, ছিলো সবসময়। আবার জ্ঞাতসারে মানুষের কালার এন্ড হ্যাবিটেশনের সঙ্গে যুক্ততার কারণে প্রচলিত অনেক ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে তারা দারুণ অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। যেমন: 'ঈদ' শব্দের 'ঈ' হরফটিকে বাংলা একাডেমি ব্যাকরণিক যুক্তিতে 'ই' করে দিয়ে বাঙালি মুসলমানের 'ঈদ'-এর আবেগে একধরনের আঘাতই হেনেছে বলতে হবে। ব্যাপারটা যতোটা অজ্ঞতাজনিত বলে ভাবা হয়, প্রকৃতপক্ষে কিন্তু তা নয়। কখনো কখনো 'হরফ' নানা কারণে একটি জাতির আবেগের চিহ্ন হয়ে ওঠে। ছোটবেলা থেকে যেসব বানানের সংশ্রবে বড়ো হয় মানুষ তাকে অতো সহজে ছাড়তে পারে না বলেই মনে হয়। এই ব্যাপারটা লক্ষ করি কলেজে উচ্চারণের ক্লাসে। ধরুন আমরা মুখে বলছি ধর্ম, বানান হিসেবেও লিখছি 'ধর্ম'। কিন্তু উচ্চারণের বানানে এটি হয়ে যাচ্ছে 'ধর্ মো'। আবার সারাজীবন দেখে এসেছি 'ঈদ', যার উচ্চারণের বানান হবে 'ইদ্'। কিন্তু উচ্চারণ লেখার সময় 'ঈদ'ই লিখছি। খাতায় অধিকাংশেরই এই কমন ভুলগুলো হয়। অনেক শিক্ষকেরও হয়। হওয়াই স্বাভাবিক। ছোটবেলা থেকে বানানটিই তো শিখে এসেছি আমরা। উচ্চারণের ক্লাস তো কখনো পাইনি। আমাদের অবচেতনের মধ্যে একেবারে পাকাপোক্তভাবে গেঁথে আছে শুদ্ধ বানান। ফলে উচ্চারণের বানানটিকে তো অবচেতন মন ভুলই ভাববে। আবার মোনায়েম খান মার্কা মনে বাঙালি মুসলমান এটা ভালোভাবেই জেনে এসেছে কোনটা 'আলিফ' আর কোনটা 'মিম'। ফলে একই রকম হরফকে তারা তাদের আবেগের রাস্তায় নামিয়ে দেবেই। বাংলা একাডেমি উচ্চারণ আর বানানের মধ্যে সখ্য তৈরি করার জন্য অনেক শব্দের বানানই সহজ করে দিয়েছে। উহুহু, আমরা তা মানবো কেন? আসলে আমাদের 'উচিত শিক্ষা' প্রাপ্ত মন তা মানবে কেন? হরফের ঐতিহ্যের ব্যাপারে কোনো ছাড়াছাড়ি নাই।
তাই প্রতি বছর 'ঈদ' এলে এই শব্দটি নিয়ে দেখা যায় নানান বিড়ম্বনা। 'ঈদ' হবে, না 'ইদ' হবে? সেই তর্কেও গা ভাসিয়ে দেয় বাংলাদেশের আবেগপ্রবণ মানুষ। 'ঈদ'-কে 'ইদ' বলি আর 'ঈদ' বলি 'ঈদ' এর তাতে কিছু যায় আসে না। অথচ কোন্দলপ্রিয় জাতি এই বানান নিয়েও একচোট কোন্দল করে নেন 'ঈদ'এর সময়। বেচারা ঈদ তখন বিরাট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে আনন্দের চেয়ে স্নায়ুযুদ্ধের এক বিশাল পর্ব দেখতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশে ঈদের সময় মানেই রাস্তায় মানুষের চাপ। লক্ষ্য তাদের দীর্ঘ 'ঈদ'ই। রোজার ঈদে শপিং আর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চাপ। এই ঈদে 'ঈদ'- এর বানান নিয়ে একবার কোন্দল করে। আর কোরবানির ঈদে কোন্দলের ইস্যু হয় 'বনের পশু ও মনের পশু'। অথচ, যেই পশুটা কোরবানি হয় তা আদৌ বন থেকে আনা হয় না, মনের পশুও কোরবানি হয় কিনা তা বলাটাও বেশ মুশকিল। কিন্তু কোন্দলপ্রিয় জাতি কোন্দল করে নেবেই।
আরেক দফা কোন্দল হয় ঈদের নামাজ নিয়ে। বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চল সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ পড়ে, ঈদ উদযাপন করে। এ নিয়েও চলে বিশাল বিতর্ক। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের এই কোন্দল দেখে 'ঈদ' কি উৎকৃষ্ট বিড়ম্বনায় পড়ে লজ্জায় মুখ ঢাকে কিনা কে জানে! অথবা ঈদের যে উদ্দেশ্য তা আদৌ পালিত হয় কিনা সে বিষয়েও রয়েছে নানা মহলের খাস বিতর্ক।
মনে আছে ২০২০ এর ঈদে মানুষ ঠাসাঠাসি করে মার্কেটে ও শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটা করে ঠাসাঠাসি করেই যানবাহনে চড়ে ঈদ করতে দেশের বাড়ি গিয়েছিলো। করোনার বিরাট একটা ঢেউয়ে তখন প্রচুর মানুষের প্রাণ চলে যায়।
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের অধিকাংশই 'ঈদ'-এর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে 'শেকড়ের টানে' গ্রামে যায় সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য। কিন্তু ঈদের নামাজ পড়ে এসেই শুরু হয়ে যায় জমিজমা সংক্রান্ত নানাবিধ হিসাব নিকাশ। খুবই স্বাভাবিক। কেননা শহরের ভাইটি সহজে ছুটি পান না, এই ঈদেই একটু যা পান। ফলে, জমিজমা সংক্রান্ত জরুরি আলাপ সারার জন্য ঈদের দিনই যথাযথ। আর জমিজমা সংক্রান্ত আলাপ মানে কি নিরীহ আনন্দময় আলাপ? প্রায় কখনোই নয়। অতঃপর ঝগড়া এবং বিড়ম্বনার ঈদ মাথায় নিয়ে 'শেকড়ের টান' ফেলে রেখে আবার শহরের ইট-কংক্রিটের মধ্যে এসে মাথা রাখতে হয়। শহরের ভাইটি ভাবে গ্রামের ভাইটি সব ভোগ দখল করে নিচ্ছে, গ্রামের ভাইটি ভাবে শহরে থাকা ভাইয়ের অনেক দাপট, এই বুঝি তাকে ধোঁকা দিয়ে সব দখল করে নিয়ে গেল! এইসব ভাবাভাবির বিস্ফোরণ ঘটে ঈদের দিন না হয় ঈদের পরের দিন।
আবার নারীমহলেও যে মনের নানান বিবাদী আছর ঘুরে বেড়ায় না, তা কিন্তু নয়। গ্রামে থাকা ভাইটির বৌ হয়তো শহরে থাকা বৌকে রান্নাঘরে একেবারে ছেড়ে দিতে চাইবে, অনেকটা শাশুড়ির ভূমিকা নিয়ে সে অর্ডার করতে চাইবে। শহরের বৌটি হয়তো মহারানির মতো ঘুরে ফিরে বেড়াতে চাইবে। এই নিয়েও আরেক চোট বিবাদ শুরু হয়ে যেতে পারে।
ঈদের বিড়ম্বনার কি শেষ আছে?
ঈদ কোথায় করা হবে, স্ত্রীর শ্বশুরবাড়িতে না স্ত্রীর বাপের বাড়িতে? নাকি যার যার বাড়িতে সে সে করবে? তাহলে কি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি হতে পারে কিনা?
এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আরেক দফা কোন্দল হতে পারে।
ফেরদৌস হাসানের 'পথ যেন শেষ না হয়' নাটকের মতো যদি স্ত্রীর ইচ্ছায় কোনো ঈদ স্ত্রীর বাবার বাড়িতে হয় তো স্বামীর সঙ্গে একচোট ঝগড়া হতেই হবে।
আবার কোন্দল হতে পারে ঈদের শপিং নিয়েও। কার কার জন্য কী কী কেনা হচ্ছে, কারটা কতো দামের। অধিকাংশ স্ত্রীই নিজের মা আর শাশুড়ির পোশাকের দামে বা পরিমাণে সূক্ষ্ম পার্থক্য বজায় রাখতে চান, অনেকে রাখেন না। গৃহিণী নারীদের ক্ষেত্রে এই সূক্ষ্ম পার্থক্য বজায় রাখতে গিয়ে জামাই-বৌয়ের মাঝে ঝগড়াও হতে দেখা যায়। আবার অনেক পরিবারে স্ত্রীর একক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে গিয়ে পরিবারের স্বামীটিকে নানা জায়গায় হতে হয় নাজেহাল। এটি সব থেকে বেশি ঘটে ঈদের সময়। কেননা ঈদেই তো সবাই একত্র হয়। আবার ভাগ্যে না থাকলে অনেকে হতেও পারে না। কেননা অধিক জনসংখ্যার এই দেশে যখন জনসংখ্যার অধিকাংশই শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে পথ দেয় তখন যানবাহনের ওপরও প্রচুর চাপ পড়ে। যানবাহনের আধিক্য, বিকল যানকে একটু মেরামত করে সচল করার ফলে এবং অল্প কয়েকদিনের জন্য অনভিজ্ঞ চালকের হাতে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ অনেক সময়ই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। জীবিত বা অর্ধমৃত অবস্থায় যদি ফেরা যায় তো ঈদের আনন্দ অতোটুকুই। আসামের বিখ্যাত লোক শিল্পী প্রতিমা পাণ্ডের মতো তখন অর্ধমৃত দশায় জীবন ফিরে পাওয়া মন গেয়ে ওঠে
'ও জীবন রে
জীবন ছাড়িয়া না যাও মোরে
তুই জীবন ছাড়িয়া গেলে
আদর করবে কে আমারে রে...'
দুর্ঘটনায় যদি জীবন বাঁচেও তো 'শেকড়ের টানে' বাড়ি ফেরার রয়েছে দুর্দান্ত ভোগান্তি। ধরুন পরাক্রমশালীই হোক আর স্ত্রৈণই হোক স্বামীকে তো পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে রাস্তায় বের হতেই হয়। যানবাহনের টিকিট সংগ্রহ, যাত্রা, যাত্রাপথে হঠাৎ গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভোগান্তি এবং অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছানোর সমস্ত সময় ব্যাগ-ব্যাগেজের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানাদির দায়িত্ব কাঁধে চেপে নেয় এদেশের পুরুষ। এও এক জব্বর বিড়ম্বনা।
এরপর দেখা যায় ঈদের দিনের রান্নাঘর পর্বের বিড়ম্বনা। অতি চতুর স্ত্রীলোক কিছুতেই চুলার কাছে থাকবে না, কিন্তু সকলের উপস্থিতির সময় এমন করে সবাইকে বেড়ে বেড়ে খাওয়াবে যেন মনে হবে সকল আয়োজন তার হাতেই সম্পন্ন হয়েছে। এসব দেখে খাটুনি করা নারীদের মনে ঈদের আনন্দের চেয়ে বিষাদ আর ক্রোধই ভর করবে।
জমিজমা সংক্রান্ত, খাটুনি সংক্রান্ত বাবা-মায়ের মনে কী থাকে তা যেন শিশু বা সন্তানেরাও টের পেয়ে যায় এবং সেভাবেই সবার সঙ্গে তারা দূরত্বের সঙ্গে মেশে।
বাংলাদেশে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে ঈদের বিড়ম্বনা অনেক। খোদ 'ঈদ' থেকে শুরু করে ছুটির দিনগুলোর কর্ম পরিধি বিবেচনা করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গিয়ে অনেক পরিবার বিষাদের সূতিকাগার তৈরি করে ফেলে। তাতে কী? শত বিবাদ সত্ত্বেও, বিড়ম্বনার বেড়ালের লেজ নাড়ানো সত্ত্বেও বাংলাদেশের মুসলমানের ঘরে ঈদ এসে উঁকি দিয়ে যায়। সকল বিবাদ বিড়ম্বনা মোকাবেলার পর যখন সবাই মিলে একসঙ্গে ঈদের পোশাক পরে বা আইসক্রিম খেতে খেতে ঈদের কোনো টিভি-প্রোগ্রাম দেখে, অথবা ঈদ-সংখ্যা পড়তে পড়তে সারাবছরের জমানো ক্লান্তির ঘুম একবারে ঘুমিয়ে নেয় তখন মনে হয় ঈদ আসলে আনন্দেরই উৎসব। আবার ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব বন্ধুবান্ধব মিলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা মারাতেও ঈদ হাসিমুখে আনন্দ নিয়েই থাকে। ঝগড়া হলেও ভাইবোনগুলো তো এই ঈদেই একটু সবাই সবাইকে দেখতে পায়, বাবা-মায়ের কাছে এটাই ঈদের আনন্দ।
সর্বোপরি বলতে চাই ঈদের নানাবিধ বিড়ম্বনার চিত্র আমাদের এই বাংলাদেশে আছে, থাকবেও চিরদিন। কম জায়গা আর বেশি মানুষের এমন বিড়ম্বনার মাঝে যতোটুকু ভালো থাকা যায় সেই চেষ্টাও মানুষের মধ্যে আছে। নাহলে প্রতি ঈদে এতো মানুষ শহরকে কার কাছে ফেলে রেখে 'শেকড়ের টানে' প্রান্তে চলে যায়?