Published : 21 Sep 2021, 12:39 AM
চন্দ্রকুঁচো নেমে গেলে
ঘুমোস্বর সরে গেলে
আমি তোর তাপ টের পাই,
জেগে উঠি ভয়ে
নিগূঢ় অন্ধকার সয়ে
ঘুমের কৌশল পাল্টাই।
বাহিরে বদমায়েশ বায়ু
দোর খুল্লেই দারুন বিপদ
ভেতরে, দেহের দরোজা ঘিরে
বকুলবাসনা ঘোরাঘুরি করে
তৃষ্ণাকে তরল করে
চক্ষুদ্বয় খুঁড়িবারে চাই
কত কিছু শংকা হয়
যদি এ অলৌকিক আগুনের দম
আরো কিছুক্ষণ নাহি রয়
এ ভূগোলের তো কোন বিশ্বাস নাই!
মৃত্যুভূমে ধৈর্যের মুখখন্ড নিয়ে
ধাতব পোড়াতে না পেরেও
দীর্ঘতৃষ্ণা তুলে তুলে
একদিন আসিবি বলে
আহাম্মক আনন্দেই থাকতাম
দীর্ঘ জলোবাসের ভেতরে ডুবে
তবু তোর আগুনেই ছিলাম।
কত আর জ্বালাবি আমারে
এইবার আয়, কাছে আয় দানব
কিছুই কি বুঝিস না বলদ
যেখানেই গেছিস, যেভাবে থেকেছিস
এ পোড়া হৃদপিন্ডই সারাক্ষণ
পাহারা দিয়েছে এবং দেয়,
শুধু তোমায় …তোমায়।।