উড়িষ্যার তিন ট্রেন দুর্ঘটনার স্থান বালেশ্বের জেলার বাহানগা বাজার থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে চুনাপাথরবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
Published : 05 Jun 2023, 04:02 PM
ভারতের অন্যতম প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ২৭৫ জনের মৃত্যুর তিন দিন পর উড়িষ্যায় ফের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এবার রাজ্যটির পশ্চিমাঞ্চলীয় বারগড়ে একটি চুনাপাথরবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উড়িষ্যার বালেশ্বের জেলার বাহানগা বাজারের কাছে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়েছিল, এর মধ্যে দুটি ট্রেন যাত্রীবাহী ও একটি ছিল মালগাড়ি। সোমবার এখান থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে চুনাপাথরবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ভারতের পূর্ব উপকূলীয় রেলওয়ে জানিয়েছে, একটি বেসরকারি সিমেন্ট ফ্যাক্টরির পরিচালনাধীন মালবাহী ট্রেনটির কয়েকটি বগি বারগড় জেলার মেন্দাপালির কাছে ওই কারখানাটির ভেতরে লাইনচ্যুত হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ‘রেলওয়ের কোনো ভূমিকা নেই’ বলে জানিয়েছে তারা।
“এটি পুরোপুরি একটি বেসরকারি সিমেন্ট কোম্পানির ন্যারো গেজ লাইন। ইঞ্জিন, বগি, রেল লাইন (ন্যারো গেজ)-এ ধরনের সব অবকাঠামোই ওই কোম্পানিটি রক্ষাণাবেক্ষণ করে।”
ডুংরি চুনাপাথর খনি এবং বারগড়ের ওই সিমেন্ট কারখানার মধ্যে থাকা ন্যারো গেজের ওই লাইনটির সঙ্গে ভারতীয় রেলওয়ে যুক্ত নয়।
এ ঘটনায় কেই হতাহত হয়েছে বলে খবর হয়নি, শুধু ট্রেনটির কিছু বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
#WATCH | Some wagons of a goods train operated by a private cement factory derailed inside the factory premises near Mendhapali of Bargarh district in Odisha. There is no role of Railways in this matter: East Coast Railway pic.twitter.com/x6pJ3H9DRC
— ANI (@ANI) June 5, 2023
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বালেশ্বরের ভয়াবহ তিন ট্রেন দুর্ঘটনা রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মী সংকট ও রেলের সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বেগকে সামনে নিয়ে এসেছে। গত বছর করা এক নিরীক্ষায় পরিদর্শনের গুরুতর ঘাটতি, দুর্ঘটনার পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বা গ্রহণ করার ব্যর্থতা, অগ্রাধিকারমূলক কাজে বরাদ্দ রেল তহবিল ব্যবহার না করা, লাইনের সংস্কার কাজে তহবিল হ্রাস এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কর্মী সংকটকে গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা ভারতীয় রেলের ‘ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম’ এর একটি ইস্যুর কারণে ঘটেছে বলে দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন।
আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, বালেশ্বরের দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর রোববার রাত প্রায় পৌনে ১১টায় বালেশ্বরের রেলপথের ডাউন লাইন দিয়ে প্রথম একটি মালবাহী ট্রেন চালানো হয়। পরে মধ্যরাতের পর আপ লাইন দিয়ে আরেকটি মালবাহী ট্রেন চালানো হয়।
আর ওই বিপর্যয়কর দুর্ঘটনার পর সোমবার সকালে প্রথম হাইস্পিড ট্রেন হাওড়া-পুরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মেরামত করা লাইন ধরে বালেশ্বরের পার হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
উড়িষ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার অভিযান শেষ, কারণ অনুসন্ধানে মনোনিবেশ