নাগরিকদের ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে আগামী রোববারের গণভোটের পথে এগুচ্ছে গ্রিস।
Published : 02 Jul 2015, 11:39 PM
ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং প্রাপ্য অবসর ভাতা অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দুর্দশায় পড়া গ্রিকদের মধ্যে সঞ্চারিত ক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের ওপর চাপ বাড়ছে।
সিপ্রাসের মতো গ্রিসের অর্থমন্ত্রীও ভোটের ফল ‘হ্যাঁ’ হলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে গণভোটকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা।
গ্রিসকে ঋণ সহায়তা দেয়ার শর্ত হিসাবে ঋণদাতাদের করের হার বাড়ানো, খরচ কমানো, বিশেষ করে পেনশন বা অন্যান্য কল্যাণমূলক খাতে খরচ কমানোর শর্ত গ্রিক প্রধানমন্ত্রী রূঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করায় ইউরোজোনের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে গণভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে কোনোরকম আপোস আলোচনার সম্ভাবনাই নাকচ করে দিয়েছেন।
“গ্রিসের ভবিষ্যৎ এখন জনগণের হাতে” বলেছেন ইউরোগ্রুপের চেয়ারম্যান জেরোয়েন ইসেলব্লোয়েম। তিনি বলেন, “ভোটের ফল ইতিবাচক হলে স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে গ্রিসকে সঙ্কট থেকে বের করে আনার সদিচ্ছা থাকবে। আর ভোটের ফল নেতিবাচক হলে গ্রিসের ভবিষ্যৎ আরো অনেক বেশি জটিল হয়ে পড়বে।”
ওদিকে, ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের ইউরোগ্রুপের প্রধান জেরোয়েন বলছেন, ‘না’ ভোট গ্রিসের অর্থনৈতিক সঙ্কট চটজলদি সমাধানে সহায়ক হবে না।
এর আগে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, জনগণ ‘না’ ভোট দিলে গ্রিস আলোচনার টেবিলে শক্ত অবস্থান নিয়ে ভাল একটি সমঝোতায় আসতে পারবে। তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়ই জেরোয়েন একথা বললেন। সিপ্রাসের বক্তব্য মোটেও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এখন রোববারের গণভোটে ঋণদাতাদের শর্তে ‘হা’ অথবা ‘না’ ভোট দিতে হবে গ্রিসের জনগণকে । সুতরাং, সবকিছু নির্ভর করছে গণভোটের ফলের ওপরই।