আইফোন ‘ব্রিকিং’ মামলায় মঙ্গলবার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ৬৭ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে অস্ট্রেলিয়ান আদালত।
Published : 19 Jun 2018, 05:59 PM
দেশটির এক নীতিনির্ধারক সংস্থা অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আইফোনের ভাঙ্গা পর্দা সারানো হলে সফটওয়্যার আপডেটে ডিভাইসটি অকেজো করে দিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি-- খবর রয়টার্সের।
অ্যাপল অনুমোদিত সেবা কেন্দ্র থেকে ডিভাইসের পর্দা না সারানোয় সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে শত শত আইফোন ও আইপ্যাড অকেজো করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে সেগুলো আনলক করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা। এ কারণেই বাজার মূল্যের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিটর অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি)।
মঙ্গলবার নীতি নির্ধারক সংস্থাটির পক্ষে রায় দেয় অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল কোর্ট। রায়ে বলা হয় ২৭৫ জন গ্রাহককে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ডিভাইস সারানোর কারণে কোনো সেবা দেয়নি অ্যাপল, এতে দেশটির ভোক্তা আইন অমান্য হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এসিসিসি কমিশনার সারাহ কোর্ট বলেন, “নিছক সত্য যে অ্যাপলের বদলে অন্য কারও মাধ্যমে আইফোন বা আইপ্যাড সারানো হলে অ্যাপল ভোক্তার নিশ্চয়তা বাতিল করেছে বা করতে পারে না।”
“বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের ফেরত নীতিমালা অস্ট্রেলিয়ান ভোক্তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, নাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে এসিসিসি,” যোগ করেন কোর্ট।
ইমেইলে অ্যাপলের এক মুখমাত্র বলেন, “এ ব্যাপারে এসিসিসি’র সঙ্গে কার্যকর কথপোকথন হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।” এর বেশি কোনো মন্তব্য করেননি ওই মুখপাত্র।
এসিসিসি জানায়, অ্যাপলকে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে বলা হলে সফটওয়্যার আপডেটের কারণে ডিভাইস অকেজো হয়েছে এমন গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে চায় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। এ যাবৎ অ্যাপলের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।