বিস্ফোরণ আর অগ্নিঝুঁকি নিয়ে ২০১৬ সালে বাজার থেকে চিরতরে তুলে নেওয়া হয় স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট ৭। গ্রাহকদের কাছ থেকে ফেরতও চাওয়া হয় ফোনটি। এটি ব্যবহার নিয়ে নানা ঝুঁকির কথা জানায় খোদ নির্মাতার সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোও। কিন্তু এখনও কয়েক হাজার গ্রাহক এই হ্যান্ডসেট ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে ভেরাইজন।
Published : 18 Jan 2017, 05:31 PM
ব্যাটারির আগুন নিয়ে ঝুঁকির মুখে এই হ্যান্ডসেট ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানানো ও সফটওয়্যার আপডেটে মাধ্যমে এর পুনরায় চার্জ হওয়ার ক্ষমতাও বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ্ন নেয় দক্ষিণ কোরীয় ইলেকট্রনিকস জায়ান্টটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের “কয়েক হাজার” গ্রাহক এখনও এই হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে যাচ্ছেন বলে মার্কিন সাময়িকী ফরচুন-এর কাছে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
ভেরাইজন-এর এক মুখপাত্র বলেন, “আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও, এখনও এমন গ্রাহক আছেন যারা ফেরত চাওয়া ফোনগুলো ব্যবহার করছেন। তারা তাদের নোট ৭ ফেরত দেননি বা অন্য সেটের সঙ্গে বদলে নেননি। এই ফেরত চাওয়া নোট ৭ হ্যান্ডসেটগুলো আমাদের গ্রাহক ও তাদের আশপাশে নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করে।”
এ ঝুঁকি বন্ধে এবার কী পদক্ষেপ নেবে ভেরাইজন? আগুনের সঙ্গে আগুন দিয়েই লড়বে প্রতিষ্ঠানটি, এমনটাই বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট সিনেট-এর প্রতিবেদনে। ওই হ্যান্ডসেটগুলো থেকে জরুরী সেবা ৯১১ ছাড়া অন্য যে কোনো নাম্বারে করা ফোন ভিন্ন রুটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, আর এর ফলে এমন বিল আসতে পারে যা ওই ফোনের পুরো দামের সমান হয়ে যেতে পারে।
এ নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলেও ভেরাইজন-এর প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে সিনেট।