চলতি বছর অক্টোবরে শেনঝু ১১ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের মাধ্যমে দেশের মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমের নতুন ধাপে এগিয়েছে চীন। এখন দেশটির লক্ষ্য চাঁদে আর ক্রমান্বয়ে মঙ্গলে মানুষ পাঠানো।
Published : 28 Nov 2016, 08:06 PM
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ২০৩৬ সালের মধ্যে চাঁদে আর এরপর মঙ্গলে ‘তাইকোনটস (নভোচারী)’ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে মহাকাশ গবেষণায় নাসার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আশা- মহাকাশ অভিযানের মাধ্যমে রোবোটিকস, এভিয়েশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ একবিংশ শতাব্দীর অন্যান্য প্রযুক্তি খাতে চীনা উদ্ভাবন ত্বরান্বিত হবে।
সাধারণত চীনের মহাকাশ কার্যক্রম অনেকটাই গোপন রাখা হয়। তারপরও দেশটির বর্তমান সরকার শীর্ষ গবেষকদের একটি প্রস্তাব যাচাই করছে। যেখানে বৈজ্ঞানিক অভিযানে বিনিয়োগ তিনগুণ করার কথা বলা হয়েছে, জানিয়েছেন চীনের ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সেন্টার-এর মহাপরিচালক উ-জি। তিনি বলেন, “চীন অন্যদের আবিষ্কৃত জ্ঞানের উপর নির্ভর করছে। যদি চীন অর্থনীতিতে আবারও তারুণ্য আনতে চায়, দেশটিকে যুগান্তকারী প্রযুক্তি উন্নয়নে আরও বেশি সম্পদ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।”
মহাপরিচালকের সঙ্গে আরও ১২ জন গবেষক কেন্দ্রীয় সরকারকে মহাকাশ বিজ্ঞানে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে এ খাতে দেশটি ৪৭০ কোটি ইউয়ান বিনিয়োগ করেছে। এই অংক বাড়িয়ে ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালে ১৫৬০ কোটি ডলার করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।