বন্ধুর পথ পেরিয়ে এতদূর আসা ফুটবলার তিনি। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের পথে গুলি খেয়ে পড়ে থাকার অতীত আছে তার। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ পেরিয়ে আসা জামাল ভূঁইয়া তাই কখনও চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হন না। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সতীর্থদেরও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার বার্তা দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
Published : 28 Mar 2022, 04:48 PM
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়া। ২১ বছর পর ফের মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি।
দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ লড়াইয়ের স্মৃতি সুখের নয়। ২-২ ড্র হয়েছিল ম্যাচটি। জামালদের সদ্য মালদ্বীপ ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা আরও তেতো; ২-০ গোলের হার। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জয়ের জন্য অধিনায়কের মরিয়া ভাবটা স্পষ্টই টের পাওয়া গেল।
“আমরা আগামী ম্যাচের জন্য নিজেদের তৈরি করছি। সবশেষ ম্যাচ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। মালদ্বীপের ওই ম্যাচে আমাদের কী করা উচিত ছিল, সামনের ম্যাচে আমাদের কী করণীয়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
“গত ম্যাচের ফল নিয়ে আমরা অবশ্যই কিছুটা হতাশ। তবে আমাদের এখন সামনের ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। সামনের ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। অবশ্যই আমরা জিততে চাই, কেননা এটা আমাদের হোম ম্যাচ।”
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে মঙ্গোলিয়া। তবে তাদেরও সবশেষ ম্যাচের স্মৃতি তৃপ্তিদায়ক হয়নি; লাওসের কাছে ১-০ গোলে হেরে সিলেটে এসেছে তারা। জামাল অবশ্য র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধান নিয়ে ভাবছেন না মোটেও।
আক্রমণভাগে পুরান সতীর্থ মতিন মিয়া ও মাহবুবুর রহমান সুফিল নেই। এ নিয়েও দুর্ভাবনা নেই জামালের। বর্তমান দলকে নিয়েই লড়ে যেতে প্রত্যয়ী ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফল্ডার এবং বরাবরের মতোই তার একটাই চাওয়া-জয়।
“দলে যে খেলোয়াড় থাকে, তাদের নিয়ে চিন্তা করি, যারা থাকে না, তাদের নিয়ে চিন্তা করি না। আমরা আসলে র্যাঙ্কিংয়ের চিন্তা করেও মাঠে নামি না। প্রতিটি ম্যাচ একই মনোভাব (জয়ের) নিয়ে নামি। সেরাটা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে।”
“প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। আমরা মঙ্গোলিয়ার ম্যাচের অনেকগুলো ভিডিও দেখেছি। তাদের খেলার ধরণ, তাদের খেলোয়াড়দের পর্যালোচনা করেছি। এগুলো করেই আমরা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছি।”
টিকেট কাউন্টারের ব্যস্ততা দেখাচ্ছে প্রস্তুত সিলেটের ফুটবলপ্রেমীরাও। জেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ম্যাচ মানেই গ্যালারি কানায় কানায় ভরে থাকে। জামালের আশা, বরাবরের মতো এবারও সমর্থকদের পাবেন পাশে। অধিনায়ক প্রতিশ্রুতিও দিলেন সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণের।
“আমি এই স্টেডিয়াম সবসময় পছন্দ করি। মনে হয়, সবসময় দর্শকরা খুব কাছে আছে। আমরা সবাই চাই দর্শক মাঠে আসুক। আমরা ভালো খেলা উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব। কেবল সিলেট নয়, সারা দেশই আমাদের কাছে ভালো ফুটবল প্রত্যাশা করে। সেটা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা।