হোম
+
প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলে এক গোল পেলো ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না তারা। শেষ দিকে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করলেন বদলি নামা গাব্রিয়েল জেসুস; দারুণ শটে জালের দেখা পেলেন জোয়াও কানসেলো। অলিম্পিয়াকোসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের ধারা ধরে রাখল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
Published : 04 Nov 2020, 03:02 AM
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জেতা সিটি টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে।
পোর্তোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করা সিটি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অলিম্পিক মার্সেইয়ের মাঠ থেকে ৩-০ ব্যবধানের দাপুটে জয় নিয়ে ফিরে।
মার্সেইকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করা অলিম্পিয়াকোস দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খায় পোর্তোর মাঠে। হারে ২-০ গোলে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পেল তারা।
শুরু থেকেই অলিম্পিয়াকোসের রক্ষণে বারবার হানা দিতে থাকে সিটি। ষষ্ঠ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের এবং সপ্তম মিনিটে তরেসের শট পারেনি দলকে এগিয়ে নিতে। তিন মিনিট পর কর্নারে তরেসের হেডও খুঁজে পায়নি ঠিকানা।
দ্বাদশ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল তুলে নেয় সিটি। সতীর্থের ছোট পাস এক ডিফেন্ডারের পা হয়ে পেয়ে যান তরেস। কেভিন ডে ব্রুইনের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে নিখুঁত শটে গোলকিপারের পায়ের ফাঁক দিয়ে জাল খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৫৪তম মিনিটে হাস্যকর ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল সিটি। গোলরক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া বল ব্যাকপাসে ফিল ফোডেন জন স্টোনসকে দিতে গিয়ে তুলে দিয়েছিলেন মাথিউ ভালবুয়েনার পায়ে। কিন্তু ছয় গজে দূর থেকে ফরাসি এই মিডফিল্ডার লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ।
সমতায় ফিরতে মরিয়া অলিম্পিয়াকোস একটু একটু করে সিটির রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। ৬২তম মিনিটে ইউসেফ এল আরাবির শট ফেরান এদেরসন।
৬৯তম মিনিটে মাহরেজ ও ফোডেনকে তুলে নিয়ে জেসুস ও রদ্রিগোকে নামান সিটি কোচ। একটু পর গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণের ভালো সুযোগ নষ্ট করেন ডে ব্রুইনে।
৮১তম মিনিটে ডে ব্রুইনের বাড়ানো বল ধরে কাছের পোস্ট দিয়ে বুলেট গতির শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জেসুস।
নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষের আগ মুহূর্তে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কানসেলোর শট জালে জড়ালে জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রিমিয়ার লিগের ২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের।
অন্য ম্যাচে মার্সেইকে নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে হারানো পোর্তো ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে অম্পিয়াকোস তৃতীয়। এবং মার্সেই এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি।
