আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে রিয়াল। লাউতারো মার্তিনেসের গোলে ব্যবধান কমানোর পর ইভান পেরিসিচের লক্ষ্যভেদে দারুণ কিছুর আশা জাগিয়েছিল ইন্টার। শেষটায় আর পেরে ওঠেনি প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করা সেরি আর দলটি।
আসরে তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল রিয়াল। শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হেরে অভিযান শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে শেষের দুই গোলে কোনোমতে ২-২ ড্র করেছিল ইউরোপের সফলতম দলটি।
প্রথম জয়ের দেখা পেতে মরিয়া দু’দলের লড়াইয়ের শুরুতে উভয়ের খেলায় ছন্দের অভাব থাকলেও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের রোমাঞ্চ ঠিকই ছিল। প্রথম ১০ মিনিটে দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পায়; কিন্তু সাফল্য মেলেনি।
চতুর্দশ মিনিটে আর্তুরো ভিদালের দূরপাল্লার শট পোস্ট ঘেঁষে পাশের জাল কাঁপায়। ২৩তম মিনিটে তখন পর্যন্ত ম্যাচের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন রিয়ালের ফেদে ভালভেরদে। ছোট ডি-বক্সের মুখ থেকে হেডে বেনজেমার পেছনে বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন উরুগুয়ের তরুণ মিডফিল্ডার।
প্রতিপক্ষের ‘উপহার’ পেয়ে ২৫তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা। মাঝমাঠ থেকে গোলরক্ষককে অহেতুক দুর্বল ব্যাকপাস করেন আশরাফ হাকিমি। দারুণ ক্ষিপ্রতায় মাঝপথে বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় ফাঁকা জালে বল জড়ান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি শাখতার ও মনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে ড্র করে আসা ইন্টার। দুই মিনিট পর দারুণ এক আক্রমণে ব্যবধান কমায় তারা। বারেল্লার অসাধারণ এক ব্যাকহিল পাস ডি-বক্সে পেয়ে ভারানের বাধা এড়িয়ে নিখুঁত শটে থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন মার্তিনেস।
৬৮তম মিনিটে আবারও গোল খেয়ে বসে রিয়াল। ডান দিক থেকে মার্তিনেসের হেডে বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে লুকাস ভাসকেসকে এড়িয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার পেরিসিচ।
যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়াতে পারতেন বেনজেমা। তবে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। তাতে অবশ্য ইউরোপ সেরার মঞ্চে চার ম্যাচ পর জয় পাওয়ার আনন্দে ভাটা পড়েনি রেকর্ড ১৩ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে শাখতারের মাঠে ৬-০ গোলে জেতা মনশেনগ্লাডবাখ তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে। দুইয়ে নেমে যাওয়া শাখতারের পয়েন্ট ৪। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে রিয়াল। ইন্টারের পয়েন্ট ২।