শঙ্কা এখনও কাটেনি। তারপরও স্থগিত থাকা ফুটবল মৌসুম পুনরায় শুরুর মিশনে নেমেছে ইউরোপের চার পরাশক্তি। কয়েক ধাপ প্রস্তুতির পরিকল্পনায় নিজেদের শীর্ষ লিগ ফেরানোর লক্ষ্যে যেমন বুধবার প্রথম পর্ব শুরু করল লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
Published : 06 May 2020, 10:22 PM
দেড় মাসের বেশি সময়ের ঘরবন্দি জীবন শেষে ফুটবলের সবুজ আঙিনায় পা রাখলেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস, করিম বেনজেমা, মার্সেলোরা। তবে করোনাভাইরাস আঘাত হানার আগের ও এখনকার ফুটবল দুনিয়ার চিত্র পুরো ভিন্ন। অদৃশ্য শত্রু থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষা-
এমন সব নতুন রূপে ফেরা স্পেনের তিনটি দলের প্রথম দিনের কার্যক্রম মার্কা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে।
বার্সেলোনা
বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের ক্লাবের ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়েছিল স্থানীয় সময় সকাল ৯টায়। এদিনের একমাত্র কাজ ছিল করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো।
সবার আগে আসেন সের্হি রবের্তো, আর সবার আগে মাঠ ছাড়েন ইভান রাকিতিচ।
মেসি ও সুয়ারেসসহ আর্তুরো ভিদাল, অঁতোয়ান গ্রিজমান, ক্লেঁমো লংলে, রাকিতিচদের মুখে ছিল মাস্ক। এসেছিলেন ফটোগ্রাফাররাও। খেলোয়াড়দের থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের কাজ করার বিষয়টা দেখভাল করেন পুলিশ।
ক্লাবের পক্ষ থেকে ভক্ত-সমর্থকদের আসতে আগেই নিষেধ করা হয়েছিল। তবুও এসেছিলেন একজন, পুলিশ তাকে চলে যেতে বলেন।
ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে এসেছিলেন শেষ দিকে, তার মুখে প্রোটেকটিভ মাস্কও ছিল না। কোচ কিকে সেতিয়েন অবশ্য এদিক থেকে ভীষণ সতর্ক; মাস্কের পাশাপাশি সার্জিক্যাল গ্লাভসও পরে ছিলেন তিনি।
ভালেন্সিয়া
ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলোর মধ্যে যেগুলোর বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়ের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ভালেন্সিয়া।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতালান্তার বিপক্ষে ম্যাচের পর গত ১৪ মার্চ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার এসেকিয়েল গারায়সহ তাদের পাঁচ খেলোয়াড় ও স্টাফের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় ভালেন্সিয়া। দুদিন পর আরেক বিবৃতিতে ক্লাবের ৩৫ শতাংশ খেলোয়াড় ও স্টাফের শরীরে সংক্রমণের খবর দেয় লা লিগার দলটি।
এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে ট্রেনিং কমপ্লেক্সে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যেন একজনের সঙ্গে আরেক জনের কোনোরকম শারীরিক যোগাযোগ না হয়। এই সপ্তাহের শেষে একক পর্যায়ে অনুশীলনে ফেরার লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে পুরো স্কোয়াডের পরীক্ষা করানো হবে।
দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও লা লিগা কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সব নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে সবাইকে। যেমন, নিজেদের গাড়িতে আসতে হবে, পার্কিংয়ে একে অপরের থেকে দূরে থাকতে হবে এবং অবশ্যই সবাইকে মাস্ক ও গ্লাভস পরে আসতে হবে।
কোচ ও খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ক্লাবের সব স্টাফেরও পরীক্ষা করানো হবে।
রিয়াল মাদ্রিদ
স্থানীয় সময় সকাল ৯টার কিছুক্ষণ পরই ক্লাবের ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আসেন করিম বেনজেমা। আসার কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য চলে যান তিনি।
এরপর একে একে পরীক্ষা করানো হয় নাচো ফের্নান্দেস, রদ্রিগো, হামেস রদ্রিগেস, গ্যারেথ বেল, মার্সেলো ও দানি কারভাহালের।
লিগ মাঠে ফেরার আগে সরকারের পক্ষ থেকে চার ধাপের প্রস্ততিপর্ব বেঁধে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো এর প্রথম পর্ব। প্রতিটি নিয়ম ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কি-না, এর দেখভাল করবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।
Today we took the first step towards a return to activity.#RMCity | #HalaMadrid pic.twitter.com/kc6PrTUBOZ
— Real Madrid C.F. (@realmadriden) May 6, 2020