মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মাহবুবুর রহমান সুফিল, সাদউদ্দিন নষ্ট করেছেন একাধিক সুযোগ। ক্রসবারও গোলবঞ্চিত করেছে। বুরুন্ডির কাছে হেরে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে আক্ষেপ জানালেন নষ্ট হওয়া সুযোগগুলো নিয়ে।
Published : 23 Jan 2020, 07:28 PM
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে এনশিমিরিমানা জসপিনের হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।
ম্যাচে একাধিক সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। ২২তম মিনিটে সময় ক্ষেপণ করে সুযোগ হারান সুফিল। ৪৮তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন সাদউদ্দিন। ৬১তম মিনিটে জামালের ক্রসে সুফিলের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট। এরপর কর্নারে রিয়াদুল হাসান রাফির হেড পোস্টে লেগে ফিরে।
বাকিটা সময়ও গোল অধরা ছিল বাংলাদেশের। ৬৭তম মিনিটে সাদউদ্দিনের হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। এরপর জামালের ফ্রি-কিক, বদলি রাকিব হোসেনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ দিকে সাদউদ্দিনের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে। নষ্ট হওয়া সুযোগগুলো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে জানান ডে।
“আগের দুটি ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও আমাদের বল পজেশন ভালো ছিল। কিন্তু তিনটি গোল খাওয়া হতাশার। বুরুন্ডির সঙ্গে আমাদের পার্থক্য একটাই-ওরা সুযোগ পেয়েছে এবং কাজে লাগিয়েছে। আমরা হয়ত ওদের চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি কিন্তু সমান সমান করেছি কিন্তু গোল করতে পারিনি।”
“মতিন মিয়ার চোটে খেলায় কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে সে যেহেতু শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দুটি গোল করেছিল, এ ম্যাচে থাকলে অন্যরকম কিছু হতে পারত। তবে প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছি-শেষ দিকের ওই দুই মিনিট ছাড়া।”
৪২তম মিনিটে জসপিনের গোলে এগিয়ে যায় বুরুন্ডি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পর ৮৯তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড।